রাজধানীর কোতয়ালী ও আদাবরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা, জাল ডলার ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যমানের বাংলাদেশি জাল নোট, ১১৩টি জাল ডলার, দুই বান্ডেল জাল টাকা ছাপার কাগজ, একটি ল্যাপটপ, দুইটি স্ক্যানার, একটি লেমিনেটর, দুইটি প্রিন্টার, ১২টি ট্রেসিং প্লেট, ৫রিম জাল টাকা ছাপানোর কাগজ, জাল টাকা ছাপানোর জন্য বিভিন্ন রংয়ের আট বোতল কালি, জাল টাকায় ক্রমিক নম্বর দেয়ার সিল ও একটি এফ প্রিমিও প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার এ সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মূলহোতা কাজী মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে ৬ বছর ধরে রাজধানীতে বসে জাল নোট তৈরি করে তা সরবরাহ করতেন এ চক্রের গ্রেফতার সদস্যরা। জাল নোটের পাশাপাশি এ চক্রটি জাল ডলার প্রস্তুত করে আসছিলেন। প্রতি এক লাখ টাকা মূল্যের জালনোট ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন তারা। চক্রটি সারা বছর জাল নোট তৈরি করলেও তারা ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জাল নোট তৈরি ও বাজার জাত করতো। প্রথমে আমরা আসামি মামুন ও শিমুকে গ্রেফতার করি পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের মূলহোতাসহ বাকিদের গ্রেফতার করা হয়। এ চক্রের মূলহোতা কাজী রায়হান পারভেজের নামে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। সে এর আগেও গ্রেফতার হয়েছে। বারবার গ্রেফতার হয়ে বের হয়ে এসে একই অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে সে। আমরা তার বিরুদ্ধে স্পেশাল অ্যাক্টে মামলা করবো যেন সে সহজে বের হয়ে আসতে না পারে।
হাফিজ আক্তার বলেন, চলতি মাসে আমরা তিনটি জাল টাকা তৈরির চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, তারা দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে পরস্পর যোগসাজশে জাল নোট প্রস্তুত করে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছে। তারা বড় কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানকে টার্গেট করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে জাল টাকা সরবরাহ করে এবং বিক্রি করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন