মূল্য পাওয়ায় কৃষকরা চলতি মৌসুমে ধান আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ে। যার কারণে রোপা আমন আবাদে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সারাদেশে টার্গেটের অনেক বেশি জমিতে রোপা আমন হয়েছে। এ তথ্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, বন্যার কারণে এবার রোপা আর আমন আবাদ কম হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু না আল্লাহর রহমতে টার্গেটের অনেক বেশি জমিতো রোপা আমন আবাদ হয়েছে। কোথাও মাঠের জমি খালি ছিল না। মূল্য ভালো পাওয়ায় ধান আবাদে কৃষকরা দারুণভাবে ঝুঁকে পড়ে। সূত্র জানায়, রোপা আমন ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার হেক্টরে আবাদ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে চাল উৎপাদন হবে ১ কোটি ৫৫ লাখ মেট্রিক টন। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় এবার উঁচু জমিতেও রোপা আমন আবাদ হয়েছে। সবমিলিয়ে টার্গেটের বেশি জমিতে এবার রোপা আমন আবাদ হয়েছে।
মাঠের চিত্র হচ্ছে, হালকা বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। ক’দিন পরেই কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন সোনালী ধান। ফরিদপুরের নগরকান্দার কৃষক আশরাফ উদ্দীন, কুষ্টিয়ার কামারখালীর তসারফ আলী ও যশোরের ঝিকরগাছার কায়েমকোলার চাষি মমতাজ আলীর বললেন, ধানের শীষ বের হয়েছে। বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কোন অসুবিধা নেই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক পার্থ প্রতীম সাহা জানান, ধানে কোথাও ফুল, কোথাও থোড় এসেছে। আর ২০/২৫দিন পরেই ধান কাটা শুরু হবে। মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারাও বলেছেন, বাম্পার ফলন হবে আমনে। তাদের মতে, পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং এন্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস জানান, প্রধান ফসল ধান উৎপাদনে আমাদের কৃষক অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে। যথেষ্ট পরিশ্রমী কৃষকরা ধানের উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় দিনে দিনে পিছিয়ে যাচ্ছেন আর্থিকভাবে হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত। সেজন্য সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই। কৃষকরা ধানের মূল্য পাচ্ছেন কী পাচ্ছেন না তা তদারকি করা হয় না। কৃষক যখন মাঠ থেকে ধান কাটে তখনই তাদের উপযুক্ত মূল্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা দরকার। ধান উৎপাদনে আমাদের সারপ্লাস। এটি বিরাট অর্জন। এটিকে ধরে রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন