লক্ষীপুরের রায়পুরে সুমি আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল বুধবার উপজেলা শহরের পোস্ট অফিস সড়কের বয়াতি বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এনজিও’র টাকা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। ঐ গৃহবধূ একই এলাকার রিকশা চালক মনির হোসেনের স্ত্রী। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। নিহতের স্বামী থানায় একটি মামলা করেন।
নিহত গৃহবধূর স্বামী কিরন জানান, অভাবের কারণে ব্র্যাক-প্রশিকাসহ কয়েকটি এনজিও ও স্থানীয় সমিতি থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা কিস্তি নিয়ে বসতঘর নির্মাণসহ রিকশা ক্রয় করেন তারা। প্রতিদিন ও সপ্তাহে কিস্তির টাকা জমা দেয়ার কথা রয়েছে। তবে করোনা ও বেশি অভাবগ্রস্থ হয়ে পড়ায় সময় মতো কিস্তি পরিশোধ করতে সমস্যা দেখা দেয়। কিন্ত এনজিও ও সমিতির কর্মকর্তারা প্রতিদিন কিস্তি আদায়ের জন্য মানসিক নির্যাতন করতো তাদের দুজনকে। বুধবার এনজিও’র কিস্তির টাকার জন্য কর্মকর্তারা চাপসৃষ্টি করলে তা দিতে না পারায় স্বামীর সাথে অভিমান করে গৃহবধূ সুমি নিজের কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন