শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ নিয়ে উদ্বেগ

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ফোরলেন প্রকল্প

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

দুইপাশে পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্তে¡ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের নরসিংদী অংশে জায়গা অধিগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রকৌশলীরা বলছেন, নতুন করে জায়গা অধিগ্রহণ একটি অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয়। পুরনো জায়গায় রাস্তা সম্প্রসারণ করা হলে বেঁচে যাবে প্রায় ৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। যা অন্য খাতে ব্যবহার করলে প্রকল্পটি আরো টেকসই হবে।
জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চারলেনে উন্নীত করার মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। ১৯৭৬ সালে তৎকালীন সরকার পৌনে ২শ’ ফুট প্রশস্ত জায়গার ৩৪ ফুট জায়গায় ২৪ ফুট পেভমেন্ট দিয়ে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। এতে রাস্তার দুই পাশে ১৪০ ফুট থেকে ১৫০ ফুট জায়গা থেকে যায়। এরমধ্যে রাস্তার উত্তর ও পূর্বে ৯০ থেকে ১০০ ফুট এবং পশ্চিম ও দক্ষিণে ৩০ থেকে ৪০ ফুট। এসব জায়গা কোথাও বেআইনি দখলে আবার কোথাও পতিত অবস্থায় পরে রয়েছে। এত বিশাল পরিমাণ জায়গা থাকা সত্তে¡ও প্রকল্প প্রাক্কলনে নরসিংদী অংশসহ বিভিন্ন জেলায় অতিরিক্ত ৯৮৬.৪৭ একর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
ইতোমধ্যে মহাসড়কের নরসিংদী অংশের ৫৩ কিলোমিটার এলাকা জমি অধিগ্রহণের নোটিশ জারি করা হয়েছে। রাস্তার পাশে অধিগৃহীতব্য জায়গার বেসরকারি স্থাপনা সমূহের ক্ষতিপূরণ দানের জরিপও শুরু হয়েছে। অথচ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের যে জমি পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই জমিতেই ফোরলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব। বর্তমানে মহাসড়কটি ডাবললেনে পেভমেন্ট রয়েছে মাত্র ২৪ ফুট। প্রস্তাবিত ফোরলেন বাস্তবায়ন করতে জায়গা লাগবে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ ফুট। এরপরও দুপাশে আরও অতিরিক্ত পতিত জমি থেকে যাবে ৭০ থেকে ৮০ ফুট। বেসরকারি হিসেব মতে প্রস্তাবিত ফোরলেন প্রকল্পকে আটলেন করা হলেও অতিরিক্ত জায়গা অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন হবে না।
নরসিংদীর শিবপুর এলাকার কারারচর গ্রামের হাইওয়ের পাশে স্থাপনার মালিক হাজী খোরশেদ আলম জানান, রাস্তার পূর্বে ৯০ থেকে ১০০ ফুট, পশ্চিমে ৩০ থেকে ৪০ ফুট জায়গা আছে। সরকারি জায়গার বাইরেই বিল্ডিং নির্মাণ করেছি। আমাদের ধারণাই আসেনি যে, এত জায়গা থাকা সত্তে¡ও জায়গা আবার অধিগ্রহণ করবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ, নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার জানান, প্রকল্পটিকে ফোরলেন বলা হলেও আসলে দুই পাশে দুটি সাবলেনসহ আসলে এটি সিক্সলেন। কাজেই জায়গা বেশি লাগবে। সরেজমিনে জরিপের মাধ্যমে প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন