‘জাতীয় জরুরী সেবা’ ৯৯৯ নম্বরে চলন্ত ট্রেনের পরিচালকের ফোন কলে গুরুতর অসুস্থ নারীকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ১ নভম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত ‘জাতীয় জরুরী সেবা’ ৯৯৯ নম্বরে লালমনিরহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক আক্তারুল ইসলাম ফোন করেন। উদ্বিগ্ন কন্ঠে আক্তারুল ইসলাম জানান, তার ট্রেনে একজন অসুস্থ মহিলা যাত্রী বেদনায় কাতরাচ্ছে এবং তার রক্তপাত হচ্ছে। তিনি ইতিমধ্যে ট্রেনে ডাক্তার যাত্রী আছে কিনা খোঁজ নিয়েছেন, কিন্তু ট্রেনে কোনো ডাক্তার যাত্রী ছিলনা। তিনি আরো জানান, ট্রেনটি বর্তমানে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি অতিক্রম করছে, পরবর্তী স্টপেজ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌঁছাতে আরো প্রায় পঞ্চাশ মিনিট সময় লাগবে। ৯৯৯ এম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করতে পারলে তিনি অসুস্থ যাত্রীকে উল্লাপাড়া স্টেশনে নামিয়ে দেবেন।
৯৯৯ তাৎক্ষণিক ভাবে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করে রেল স্টেশনে এম্বুল্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানায় এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুল্যান্সের চালকের সাথে ট্রেন পরিচালকের কথা বলিয়ে দেয়।
রাত পৌনে আটটায় ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থামে এবং রোগীকে সত্বর সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৯৯৯ এম্বুল্যান্স চালককে ফোন করলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে অসুস্থ নারীর ভাইয়ের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে ৯৯৯ থেকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে অসুস্থ নারীর ভাই দোলা মিয়া (১৭) ৯৯৯ কে জানান তিনি তার বোন রিপুলি (২৫) এবং ভগ্নিপতি কে নিয়ে দুপুর একটায় গাইবান্ধার বামনডাঙ্গা থেকে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন ঢাকার কমলাপুর এর উদ্দেশ্যে। মাস খানেক পূর্বে গর্ভপাত হয়ে তার বোনের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়, কিন্তু তার বোন পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। পথিমধ্যে তার বোনের বেদনা এবং রক্তপাত শুরু হয়।
৯৯৯ থেকে গত ২ নভেম্বর সকালে দোলা মিয়াকে ফোন করা হলে তিনি জানান, তার বোনের বর্তমান অবস্থা ভালো এবং স্থিতিশীল। এখনো তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছেন এবং ডাক্তারের পরামর্শে আল্ট্রাসনোগ্রাফী করিয়েছেন। তিনি বোনের সংকট মুহূর্তে সহায়তা করার জন্য ৯৯৯ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন