লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মানসিকভাবে অসুস্থ আবু ইউনুস মো. শহিদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) পিটিয়ে ও পরে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আরো ৪ জনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও আরও নতুন করে ২জনকে গ্রেফতার করেছে পাটগ্রাম পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৩ এর বিচারক চারজনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।এ নিয়ে দায়েরকৃত ৩ মামলায় মসজিদের খাদেমসহ মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৩ এর বিচারক ফেরদৌসী বেগম এর আদালতে পুলিশ ৪ জনকে ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন জানায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানি শেষে জোবায়েদ আলী, আনোয়ার হোসেন, মেহেদী হাসান রাজু ও রবিউল ইসলাম ওরফে পিচ্চি রবিউলকে ৩ দিন করে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে প্রথম দফায় গ্রেফতারকৃত ৫ জন আসামিকে ৩ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এদিকে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও তদন্ত কমিটি আরও সময় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটি প্রধান লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টিএমএ মমিন। তিনি বলেন, আমাদের ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলে কিছু কাজ বাকি থাকার কারণে আরও ৪ কর্ম দিবস সময় নেয়া হয়েছে। কমিটি আগামী মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। এদিকে নতুন করে গত বুধবার রাতে গ্রেফারকৃত দু’জনের মধ্যে পাটগ্রাম উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আবু নাইমকে হত্যা মামলায় আর আমবাড়ী গ্রামের আ. গনিকে তিনটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মোহন্ত জানান। বুড়িমারীর ঘটনায় নিহত জুয়েলের চাচাতো ভাই সাইফুল আলম, পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বাদী হয়ে পৃথক-পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা করেন। ৩টি মামলায় তদন্ত করছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন