শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

তেঁতুলিয়ায় বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়

দেখা মিলছে না কাঞ্চনজঙ্ঘার

তেতুঁলিয়া (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:১৫ এএম

কথায় আছে সখের তোলা আশি টাকা, চোখে এক নজর কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য দিন দিন পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে তেঁতুলিয়ায়। কিন্তু মেঘলা আকাশ হওয়ায় সেই শখ যে ম্লান হয়ে যাচ্ছে তাদের। বর্তমানে আকাশ মেঘলা কুয়াশাচ্ছান্ন থাকায় দেখা মিলছে না কাঞ্চনজঙ্ঘা।
কাঞ্চনজঙ্ঘা ভারতের সিকিম ও নেপাল জুড়ে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ যার উচ্চতা ৮৫৮৬ মিটার বা ২৪,১৬৯ ফুট। পর্যটকদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় একটি আকর্ষণ কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভারতের অন্যতম শৈল শহর দার্জিলিং, ঘুম বা কালিম্পংয়ের প্রধান আকর্ষণ কাঞ্চনজঙ্ঘা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আকাশ খুব পরিষ্কার থাকলে প্রায় সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গের বাস্তব দৃশ্যপট দেখা মিলে। তবে প্রতি বছর জানুয়ারীর তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আকাশ খুব পরিষ্কার থাকায় এটি ভাল দেখা যায়। কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রম করোনা কালীন পৃথিবীর আকাশ ও বাতাস স্বচ্ছ পরিষ্কার থাকায় অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের সীমান্ত উপজেলা হিমালয়ের কাছাকাছি তেঁতুলিয়া থেকেই দেখা মিলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘার। পর্যটকরা তা দেখে তাদের ফেসবুক আইডিতেও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাওয়া ছবি পোস্ট করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করায় দেশের ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের রীতিমত নজর কেড়েছে। যে কারণে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য দেশের দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা জেলার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রাত যাপন করে ভোরে এসে ডাকবাংলো মহানন্দা নদীর পাড়ে ক্যামেরা, বাইনোকুলার নিয়ে ভিড় জমাচ্ছে।
মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা ডাক্তার দম্পত্তি জানান, তেঁতুলিয়ায় রাত যাপনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি আবাসিক সঙ্কট থাকায় পঞ্চগড় শহরেই রাত যাপন করেছি।
এমন দৃশ্যপট দেখার জন্য ভোরে মাইক্রোবাস নিয়ে চলে এসেছি। নাটোর থেকে আসা একদল তরুণ শিক্ষার্থী জানান, আমরা কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত দেখার জন্য সংবাদ মাধ্যমে ছবি দেখে এসেছি। কিন্তু আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় পর্বত দেখতে পারিনি। তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ দেখতে আসা পর্যটকদের এমন অপেক্ষার দৃশ্যপট যেনো দার্জিলিং শহরের টাইগারহিলকে হার মানাবে। তবে অসংখ্য পর্যটকের আনাগোনা হওয়ায় রাত যাপনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি আবাসিক সঙ্কট থাকায় চলে যেতে হচ্ছে দূর থেকে দূরান্তরে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন