শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সাম্প্রদায়িক-নিপীড়ন, নির্যাতন বন্ধে রাষ্ট্রকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি সিলেটে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০২০, ৫:৫০ পিএম

দেশের বিভিন্ন জায়গায় অব্যাহতভাবে চলছে সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন, নির্যাতন। সেই অবস্থা বন্ধের দাবিতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সম্মুখের রাস্তায় অবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ। এই কর্মসূচী থেকে সাম্প্রদায়িক-নিপীড়ন, নির্যাতন বন্ধে রাষ্ট্রকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানিয়েছে সংগঠনটি।

কুমিল্লার মুরাদনগরে সংখ্যালঘুু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ও মন্দিরে হামলা করে প্রতিমা ভাংচুর, সিরাজগঞ্জে নগর কীর্তনরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা, দিনাজপুরের পার্বতীপুর, লক্ষীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় সাম্প্রদায়িক হামলা ও মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেকে আজ শনিবার সকালে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।

সংগঠনের মহানগর সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয়ধর ভোলার সভাপতিত্বে এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক কৃপেশ পাল ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দেবের যৌথ সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন,

বিভিন্ন জায়গায় গুজব রটিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে, মন্দিরে হামলা হচ্ছে, অগ্নিসংযোগ হচ্ছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ফেইসবুক আইডি হ্যাক করে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করে তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক কুশল চক্রবর্তীরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। লালমনির হাটের পাটগ্রামে ধর্মপ্রাণ ও নিরীহ শহীদুন্নবীকে পিটিয়ে হত্যা করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যা আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কল্পনা করা যায় না। সভায় বক্তারা দাবী জানান, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় গঠন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও প্রত্যেক অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।


জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডভোকেট প্রদীপ ভট্টাচার্য্যরে স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সভায় বক্তব্য প্রদান করেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মক্তিযোদ্ধা গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থ চয়ন, মহানগর সভাপতি সুব্রত দেব, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র পাল, জেলা পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রঞ্জন ঘোষ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি দানেশ সাংমা, খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের পক্ষে পুরোহিত ফিলিপ বিশ্বাস, শ্রীহট্ট ব্রাহ্মণ পরিষদের সভাপতি অমৃত রায় ভট্টাচার্য্য, হরিভক্তি প্রচারিনী সভার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী দেবদাস রায়, দক্ষিণ সুরমা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মন মোদন দেবনাথ, সদর উপজেলা পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাজু গোয়ালা, ঐক্য পরিষদ জালালাবাদ থানা শাখার সদস্য সচিব বাবুল দেব, এয়াপোর্ট থানা শাখার আহ্বায়ক জিডি রুম, মোগলাবাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক রিপন বৈদ্য, দক্ষিণ সুরমা শাখার সাধারণ সম্পাদক আপন দাস, কাশ্যপ কল্যাণ পরিষদ জেলা সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি মোহন বিশ্বাস, চন্দ সমাজকল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা দিলীপ কুমার লাল, মহিলা ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব প্রভাষক বীনা সরকার, ছাত্র ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সঞ্জয় ভট্টাচার্য্য, সিলেট জেলা সভাপতি ধনঞ্জয়ন দাস ধনু, তরুণ সনাতনী শংঘের সভাপতি অর্জুন রায়। সমাবেশ শেষে শহীদ মিনার থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল সিটি পয়েন্টে এসে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের পর শেষ হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ABU ABDULLAH ৭ নভেম্বর, ২০২০, ১১:০৩ পিএম says : 0
সাম্প্রদায়িক শক্তির কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও স্লোগান টি মারাত্তক দেশ ভাগ হয়েছে দ্বিজাতি ভিত্তিতে হিন্দু বাঙালিরা হিন্দুস্থানে চলে গিয়াছে মুসলমান বাঙালিরা হিন্দুস্থান যেতে পারেনি তাহলে দেশ ভাগ হওয়া ছিল সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে এখন কেউ যদি বলে "সাম্প্রদায়িক শক্তির কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও" তাহলে কথাটি মারাত্তক
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন