রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান মো. শহিদুন্নবী জুয়েল (৫০) কে লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা মামলায় নতুন করে আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট গ্রেফতার হলেন ২৮ জন। এর মধ্যে ১৮ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার ৯ আসামির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ৪ জনকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন, হত্যা মামলায় পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের হাসানুর রহমান (২৫), আ. রহিম (২২), সোহেল রানা (২০) ও পুলিশের মামলায় মাইনুল ইসলাম (২৬)। আদালত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুসা আলম জানান, শহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যা ও লাশ পোড়ানোর ঘটনায় বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খাদেমসহ ৯ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে খাদেমসহ ২ জন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে রিমান্ড ছাড়াই একজন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ৯ আসামির রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নিহত জুয়েলের পরিবারকে চেক প্রদান করলেন জেলার প্রশাসক।
জুয়েলের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। গতকাল রোববার বিকেল ৩ টায় জেলা প্রশাসকের কক্ষে নিহতের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর। এ সময় নিহত জুয়েলের মেয়ে জেবা তাসনিয়াকে ২০ হাজার টাকা অনুদানের চেক প্রদান করেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর। এ সময় নিহত জুয়েলের বড় ভাই আবু ইউসুব মো. তওহিদুন্নবীসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নিহত জুয়েলের মেয়ে জেবা তাসনিয়া বলেন, আমার বাবার হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তি চাই। শুধু অনুদান নয় বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসি চাই। নিহত জুয়েলের বড় ভাই আবু ইউসুব মো. তওহিদুন্নবী সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসনের তৎপরতায় আমাদের বিশ্বাস ন্যায় বিচার পাবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন