সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

উলিপুরে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ

ভাঙচুর-লুটপাট, পৃথক মামলা দায়ের

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রামের উলিপুরে তুচ্ছ ঘটনায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, মারপিট ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে উলিপুর থানায় পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে ঐ পরিবার দু’টির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারো সংঘষের্র আশঙ্কা রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দলদলিয়া মিয়া পাড়া গ্রামে। 

জানা গেছে, উপজেলার ঐ গ্রামের এমদাদুল হকের বাড়িতে প্রতিবেশী আব্দুুল হাইয়ের কলেজ পড়–য়া ছেলে জিহাদ মিয়ার আসা-যাওয়া নিয়ে এমদাদুল হকের স্ত্রী জবা বেগমকে ঘিরে অবৈধ সম্পর্কের মিথ্যা অপ-প্রচার ছড়িয়ে পরলে জিহাদকে ঐ বাড়িতে আসতে মানা করা হয়। তখন থেকে সে ঐ বাড়িতে না আসলেও এ বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের পরিবারের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত ঘটে।
ঘটনার প্রায় ৩ মাস পর গত ০৯ আগস্ট রাত আনুমানিক রাতে আব্দুল হাইয়ের বাড়ীতে অজ্ঞাতরা ইট-পাটকেল দিয়ে ঢিল ছুড়ে মারে। এ ঘটনায় তারা এমদাদুলের পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ী-ঘর ভাঙচুর করে। এ সময় এমদাদুলের স্ত্রী জবা বাঁধা দিতে আসলে হামলাকারীরা তার উপর হামলে পরে এবং পড়নের কাপড় ও চুলের মুঠি ধরে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত এবং শ্লীলতাহানী ঘটায়। হামলাকারিদের হাত থেকে জবা বেগমকে উদ্ধারের জন্য তার দেবর নওয়াব আলী, মেয়ে জামাই সোয়াইবুর রহমান, শ্বাশুরী মর্জিনা বেগম ও পুত্র ইমন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং ঘরের আসবাব পত্র ভাঙচুর, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকা লুটপাট এবং ক্ষতি সাধন করে। আহতদের সে সময় উলিপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। এ ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে নওয়াব আলী বাদী হয়ে উলিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পক্ষান্তরে ওই মামলা থেকে পরিত্রাণ পেতে ঘটনার ২ মাস পর গত ২৯ অক্টোবর জিহাদের চাচা ছবুর মিয়া বাদী হয়ে ভাই আ. হাইকে হত্যার চেষ্টা ও ভাবী জুলেখা বেগমকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টার অভিযোগ এনে ৬ জনকে আসামি করে উলিপুর থানায় পৃথক একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে এস আই মো. রাসেল মাহমুদ জানান, মামলাটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন