প্রেম, এরপর শারীরিক সম্পর্ক। পরে ধর্ষণের মামলা। গ্রেফতার হয়ে কারাগারে প্রেমিক। জামিন আবেদন আসে হাইকোর্টে। ১১ নভেম্বর বিয়ের শর্তে জামিনে রাজি হন আদালত। সম্প্রতি ফেনী ও রাজশাহীর দুটি ধর্ষণ মামলার বিয়ের শর্তে জামিন দেন হাইকোর্ট। অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, এই দুই পরিবারের দিকে তাকিয়ে হয়তো সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ। তেমনি একটি ঘটনা ঘটে গত ২৭ মে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামে। জহিরুল ইসলাম জিয়া নামের একুশ বছরের এক যুবক ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ান পাশের বাড়ির এক ১৮ বছরের তরুণীর সাথে। বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে জিয়াউদ্দিনে বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে ওই তরুণী। গ্রেফতার হন জিয়া। ৩০ জুন এ মামলার চার্জশিট দেয় সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। সেই মামলায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন নিতে আসেন জিয়া উদ্দিন। ওই তরুণীকে বিয়ের শর্তে জামিনের কথা বলে হাইকোর্ট। আর এ বিয়ের আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয় ফেনী জেলা কারা কর্তৃপক্ষকে।
এর আগেও হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রাজশাহীর এক আসামিকে বিয়ের শর্তে জামিন দেন। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলছেন, দুপক্ষের দিকে তাকিয়ে সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্তটি দেন আদালত। এ দুই বিয়ের পরিণতির উপর নির্ভর করছে ভবিষ্যতে এমন মামলায় জামিন হবে কি না। আর তা নজরেও রাখবেন উচ্চ আদালত। অন্যদিকে জহিরুল ইসলাম জিয়ার পিতা মেম্বার সুফিয়ান জানান, হাইকোর্টে রায়ে আমার পরিবারসহ পুরো গ্রামবাসী বেশ খুশি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন