সংবিধান একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি কোন শাসনব্যবস্থার মূল গ্রন্থ যাতে স্বায়ত্তশাসিত কোন রাজনৈতিক সত্তার কর্তব্য নির্ধারণের মৌলিক নিয়ম ও সূত্রসমূহ লিপিবদ্ধ থাকে। কোন দেশের ক্ষেত্রে এই শব্দ সেই দেশের জাতীয় সংবিধানকে বোঝায়, যা রাজনৈতিক মৌলিক নিয়ম ও সরকারের পরিকাঠামো, পদ্ধতি, ক্ষমতা ও কর্তব্যকে প্রতিস্থাপিত করে। সংবিধান দুই ধরনের হতে পারে লিখিত এবং অলিখিত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত দলিল। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৪ নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এই সংবিধান গৃহীত হয় এবং একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকী হতে এটি কার্যকর হয়। মূল সংবিধান ইংরেজি ভাষায় রচিত হয় এবং একে বাংলায় অনুবাদ করা হয়। তাই এটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান। তবে ইংরেজি ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে।
১০ এপ্রিল ২০১৮ সালের সপ্তদশ সংশোধনীসহ বাংলাদেশের সংবিধান সর্বমোট ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে। এই সংবিধান সংশোধনের জন্য জাতীয় সংসদের সদস্যদের মোট সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। তবে পঞ্চম সংশোধনী, সপ্তম সংশোধনী, ত্রয়োদশ সংশোধনী ও পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের আদেশে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, সংবিধানের মূল কাঠামো পরিবর্তন হয়ে যায় এরূপ কোনো সংশোধনী এতে আনা যাবে না; আনা হলে তা হবে এখতিয়ার বহির্ভূত।
বাংলাদেশের সংবিধান কেবল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনই নয়, সংবিধানে বাংলাদেশের মূল চরিত্র বর্ণিত রয়েছে। এতে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমারেখা বিধৃত আছে। দেশটি হবে প্রজাতান্ত্রিক, গণতন্ত্র হবে এদেশের প্রশাসনিক ভিত্তি, জনগণ হবে সকল ক্ষমতার উৎস এবং বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস হলেও দেশ আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
তারা হলেন ড. কামাল হোসেন (ঢাকা-৯, জাতীয় পরিষদ), মো. লুৎফর রহমান (রংপুর-৪, জাতীয় পরিষদ), অধ্যাপক আবু সাইয়িদ (পাবনা-৫, জাতীয় পরিষদ), এম আবদুর রহিম (দিনাজপুর-৭, প্রাদেশিক পরিষদ), এম আমীর-উল ইসলাম (কুষ্টিয়া-১, জাতীয় পরিষদ), মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মনজুর (বাকেরগঞ্জ-৩, জাতীয় পরিষদ), আবদুল মুনতাকীম চৌধুরী (সিলেট-৫, জাতীয় পরিষদ), ডা. ক্ষিতীশ চন্দ্র (বাকেরগঞ্জ-১৫, প্রাদেশিক পরিষদ), সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (সিলেট-২, প্রাদেশিক পরিষদ), সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ময়মনসিংহ-১৭, জাতীয় পরিষদ), তাজউদ্দীন আহমদ (ঢাকা-৫, জাতীয় পরিষদ), খন্দকার মোশতাক আহমেদ (কুমিল্লা-৮, জাতীয় পরিষদ), এ এইচ এম কামারুজ্জামান (রাজশাহী-৬, জাতীয় পরিষদ), আবদুল মমিন তালুকদার (পাবনা-৩, জাতীয় পরিষদ), আবদুর রউফ (রংপুর-১১, ডোমার, জাতীয় পরিষদ), মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ (রাজশাহী-৩, জাতীয় পরিষদ), বাদল রশীদ, বার অ্যাট ল, খন্দকার আবদুল হাফিজ (যশোর-৭, জাতীয় পরিষদ), শওকত আলী খান (টাঙ্গাইল-২, জাতীয় পরিষদ), মো. হুমায়ুন খালিদ, আছাদুজ্জামান খান (যশোর-১০, প্রাদেশিক পরিষদ), এ কে মোশাররফ হোসেন আখন্দ (ময়মনসিংহ-৬, জাতীয় পরিষদ), আবদুল মমিন, শামসুদ্দিন মোল্লা (ফরিদপুর-৪, জাতীয় পরিষদ), শেখ আবদুর রহমান (খুলনা-২, প্রাদেশিক পরিষদ), ফকির সাহাব উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক খোরশেদ আলম (কুমিল্লা-৫, জাতীয় পরিষদ), এম. মোজাফ্ফর আলী (জাতীয় পরিষদ হোমনা- দাউদকান্দি), অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক (কুমিল্লা-৪, জাতীয় পরিষদ), দেওয়ান আবু আব্বাছ (কুমিল্লা-৫, জাতীয় পরিষদ), হাফেজ হাবিবুর রহমান (কুমিল্লা-১২, জাতীয় পরিষদ), আবদুর রশিদ (নোয়াখালী-১, জাতীয় পরিষদ) , নুরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৬, জাতীয় পরিষদ), মোহাম্মদ খালেদ (চট্টগ্রাম-৫, জাতীয় পরিষদ) ও বেগম রাজিয়া বানু (নারী আসন, জাতীয় পরিষদ)।
একই বছরের ১৭ এপ্রিল থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে। জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য মতামত আহবান করা হয়। সংগৃহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করেন। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে কার্যকর হয়। গণপরিষদে সংবিধানের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘এই সংবিধান শহীদের রক্তে লিখিত, এ সংবিধান সমগ্র জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার মূর্ত প্রতীক হয়ে বেঁচে থাকবে।’
সংবিধান লেখার পর এর বাংলা ভাষারূপ পর্যালোচনার জন্য ড. আনিসুজ্জামানকে আহবায়ক, সৈয়দ আলী আহসান এবং মযহারুল ইসলামকে ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে একটি কমিটি গঠন করে পর্যালোচনার ভার দেয়া হয়। গণপরিষদ ভবন, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন, সেখানে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির বৈঠকে সহযোগিতা করেন ব্রিটিশ আইনসভার খসড়া আইন-প্রণেতা আই গাথরি। সংবিধান ছাপাতে ১৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিলো। সংবিধান অলংকরণের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছিল, যার প্রধান ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। এই কমিটির সদস্য ছিলেন শিল্পী হাশেম খান, জনাবুল ইসলাম, সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও আবুল বারক আলভী। শিল্পী হাশেম খান অলংকরণ করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে তৈরি ক্র্যাবটি ব্রান্ডের দুটি অফসেট মেশিনে সংবিধানটি ছাপা হয়। মূল সংবিধানের কপিটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। বাংলাদেশের সংবিধান শুরু হয়েছে প্রস্তাবনা দিয়ে ও শেষ হয়েছে ৭টি তফসিল দিয়ে। বাংলাদেশের সংবিধানে ১১টি ভাগ আছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ/ধারা ১৫৩টি। বাংলাদশের প্রথম হস্তলেখা সংবিধানের মূল লেখক আবদুর রাউফ।
বাংলাদেশের সংবিধানের শুরুতেই আছে বিস্মিল্লাহির-রহ্মানির রহিম (দয়াময়, পরম দয়ালু, আল্লাহের নামে/পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে)। প্রস্তাবনায় রয়েছে, আমরা, বাংলাদেশের জনগণ, ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি; আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল-জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে;
আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে; আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা যাহাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাক্সক্ষার সহিত সঙ্গতি রক্ষা করিয়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে পারি, সেইজন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ণ রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য; এতদ্বারা আমাদের এই গণপরিষদে, অদ্য তের শত ঊনআশী বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসের আঠারো তারিখ, মোতাবেক ঊনিশ শত বাহাত্তর খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসের চার তারিখে, আমরা এই সংবিধান রচনা ও বিধিবদ্ধ করিয়া সমবেতভাবে গ্রহণ করিলাম।
সংবিধানের প্রথম ভাগ প্রজাতন্ত্র যার ধারাগুলো হল প্রজাতন্ত্র, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা, রাষ্ট্রধর্ম, রাষ্ট্রভাষা, জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক, জাতির পিতার প্রতিকৃতি, রাজধানী, নাগরিকত্ব, সংবিধানের প্রাধান্য, সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ এবং সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন অযোগ্য। দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে মূলনীতিসমূহ, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা, মালিকানার নীতি, কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি, মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা, গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা, পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, সুযোগের সমতা, অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম, নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য, নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ, জাতীয় সংস্কৃতি, উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি, জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন, প্রভৃতিএবং আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন।
তৃতীয় ভাগে রয়েছে মৌলিক অধিকারের সহিত অসামঞ্জস্য আইন বাতিল, আইনের দৃষ্টিতে সমতা, ধর্ম, প্রভৃতি কারণে বৈষম্য, সরকারি নিয়োগ-লাভে সুযোগের সমতা, বিদেশি, খেতাব, প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধকরণ, আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার, জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকাররক্ষণ, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, জবরদস্তি-শ্রম নিষিদ্ধকরণ, বিচার ও দন্ড সম্পর্কে রক্ষণ, চলাফেরার স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা, পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্পত্তির অধিকার, গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষণ, মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ, শৃঙ্খলামূলক আইনের ক্ষেত্রে অধিকারের পরিবর্তন, দায়মুক্তি-বিধানের ক্ষমতা, কতিপয় আইনের হেফাজত, সংবিধানের কতিপয় বিধানের অপ্রযোজ্যতা।
চতুর্থ ভাগে রয়েছে রাষ্ট্রপতি, ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার, রাষ্ট্রপতি-পদের মেয়াদ, রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি, রাষ্ট্রপতির অভিশংসন, অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ, অনুপস্থিতি প্রভৃতির-কালে রাষ্ট্রপতি-পদে স্পিকার, মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিগণ, প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ, অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদ, স্থানীয় শাসন, স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা, সর্বাধিনায়কতা, প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগে ভর্তি প্রভৃতি, যুদ্ধ ও অ্যাটর্নি-জেনারেল। পঞ্চম ভাগে আছে সংসদ-প্রতিষ্ঠা, সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা, সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া, সংসদ-সদস্যদের [পারিশ্রমিক] প্রভৃতি, শপথ গ্রহণের পূর্বে আসন গ্রহণ বা ভোট দান করিলে সদস্যের অর্থদন্ড, ৭০। রাজনৈতিক দল হইতে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া, দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা, সংসদের অধিবেশন, সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী, সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রীগণের অধিকার, স্পীকার ও ডেপুটি স্পিকার, কার্যপ্রণালী-বিধি, কোরাম প্রভৃতি, সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ, ন্যায়পাল, সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি এবং সংসদ-সচিবালয়।
এছাড়া আইন প্রণয়ন ও অর্থসংক্রান্ত পদ্ধতি, আইন প্রণয়ন পদ্ধতি, অর্থবিল, আর্থিক ব্যবস্থাবলীর সুপারিশ, সংসদের আইন ব্যতীত করারোপে বাধা, সংযুক্ত তহবিল ও প্রজাতন্ত্রের সরকারী হিসাব, সরকারি অর্থের নিয়ন্ত্রণ, প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসাবে প্রদেয় অর্থ, বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি, সংযুক্ত তহবিলের উপর দায়, বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি সম্পর্কিত পদ্ধতি, নির্দিষ্টকরণ আইন, সম্পূরক ও অতিরিক্ত মঞ্জুরী, হিসাব, ঋণ প্রভৃতির উপর ভোট এবং অধ্যাদেশপ্রণয়ন-ক্ষমতা পঞ্চম ভাগের অন্তর্ভূক্ত। ষষ্ঠ ভাগে বিচারবিভাগ, সপ্তম ভাগে নির্বাচন, অষ্টম ভাগে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, নবম ভাগে বাংলাদেশের কর্মবিভাগ, দশম ভাগে সংবিধান-সংশোধন, একাদশ ভাগে বিবিধ এবং সবশেষে কিছু তফসিল উল্লেখিত আছে। গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার জন্য সংবিধান মেনে চলা দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
লেখক: সহকারী কর্মকর্তা, ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস বিভাগ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন