নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ কিশোর মন্ডলের বিরুদ্ধে এক স্বামী পরিত্যক্তা ও দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিশোর মন্ডল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চিলতলা গ্রামের ওই নারীকে মাসের পর মাস ধর্ষণ করেন। ইতোমধ্যে ওই ধর্ষিতা নারী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে কিশোর মন্ডল বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে ওই নারী স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লিটন মৃধা ও দফাদার ইসমাইল হোসেনের কাছে বিচার দাবি করেন। গত শুক্রবার মো. লিটন মৃধাসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা কিশোর মন্ডলকে বিয়ে করার জন্য বলার পরে সে গা ঢাকা দিয়েছে। গ্রাম পুলিশ কিশোর মন্ডল বাশতলা গ্রামের কালীপদ মন্ডলের পুত্র।
দৈহারী ইউপির সদস্য মো. লিটন মৃধা ও গ্রাম পুলিশের দফাদার ইসমাইল হোসন গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, চৌকিদার কিশোর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন বলে গত শুক্রবার তাদেরকে জানানো হয়। প্রতারণার শিকার ওই নারীকে বিয়ে করার জন্য কিশোরকে বলা হলে সে বিষয়টি অস্বীকার করে এবং আমাদের কথায় পাত্তা দিচ্ছে না। সে কারণে ধর্ষিতাকে থানায় অভিযোগ দেয়ার জন্য যেতে বলা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের ওই নারী বর্তমানে খুবই অসুস্থ এবং ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ কিশোরের ফোনে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন