বরিশাল ব্যুরো : বহু সমালোচনার পর অবশেষে দক্ষিণ বাংলার সর্ববৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিএম কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছুসংখ্যক ছাত্র নেতাদের অবৈধ সুবিধার লক্ষ্যে তিনমাস মেয়াদী অনির্বাচিত ‘অস্থায়ী ছাত্র কর্মপরিষদ’-এর কার্যক্রম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ এ পাঁচ বছরে কথিত ছাত্র কর্মপরিষদের অনেকেরই ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে। এমনকি তারা স্ত্রী-সন্তানসহ ঘর-সংসার করলেও এতদিন তারা কলেজে নেতৃত্বের নামে নানা অবৈধ কর্মকাÐে লিপ্ত ছিল।
২০১১ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র শওকত হোসেন হিরনের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাদের নিয়ে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ননী গোপাল দাস ছাত্রলীগ নেতা মঈন তুষারকে ভিপি ও নাহিদ সেরনিয়াবাতকে জিএস করে ২৭ সদস্যবিশিষ্ট অস্থায়ী ছাত্র কর্মপরিষদ গঠন করেন। কিন্তু এই কমিটিকে অবৈধ বলে অভিহিত করে ৪ জন শপথ না নেয়ায় ২৩ জন সদস্য সমন্বয়ে ছাত্র কর্মপরিষদ গঠন করা হয়। প্রফেসর ননী গোপাল দাসকে পরে কলেজ থেকে বদলী করা হলে তিনি দীর্ঘদিন ছাত্র কর্মপরিষদের সমর্থন নিয়ে অধ্যক্ষের দায়িত্ব চালিয়ে যান। এমনকি মন্ত্রণালয় থেকে ননি গোপাল দাশের স্থলে প্রিন্সিপাল পদে প্রফেসর শংকর লাল দাসকে নিয়োগ দেয়া হলে ছাত্র কর্মপরিষদের কতিপয় নেতা তাকে প্রকাশ্যে রাস্তায় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তাড়িয়ে দেয়।
এরপর বিএম কলেজের সকল কর্মকাÐে অবৈধ ছাত্র কর্মপরিষদ কর্তৃত্ব করে আসছিল। আবার নেতৃত্ব নিয়ে বেশ কয়েকবার কর্মপরিষদের পদধারীদের ও তাদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে। গত সপ্তাহে একই কারণে কলেজে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের পর কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের গতকালের সভায় কলেজ ছাত্র সংসদের পরিবর্তে পাঁচ বছর আগে অবৈধভাবে গঠিত ছাত্র কর্মপরিষদের সকল কার্যক্রমকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন