দক্ষিণাঞ্চলে বিআরটিসির একমাত্র বাস ডিপোটি করোনা সঙ্কট কাটিয়ে পুনরায় লাভের ধারায় ফিরেছে। তবে প্রয়োজনীয় বাসের অভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রুটে যাত্রী সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ডিপোটিতে ৭৮টি যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে বর্তমানে সচল ৫৩টি। এগুলোর মাধ্যমে সাগর পাড়ের কুয়াকাটা থেকে উত্তরের রংপুর পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ডিপোটির মাসিক আয় প্রায় দেড় কোটি টাকার কাছে পৌঁছেছে। এর মধ্য থেকে ফেরি সেতুর টোল বাবদ মাসে প্রায় ১০ লাখ টাকার মত গুনতে হচ্ছে ডিপোটিকে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই লাভের গুড় পিপড়ায় খাবার মত অবস্থা। করোনা সঙ্কটের প্রথম তিন মাস বন্ধ এবং আরো একমাস অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করায় ডিপোটির আর্থিক ভীত ভেঙে পড়ে। সদর দফতর থেকে এক মাসের বেতন ও গত দু’মাসে নিজস্ব আয় দিয়েই ডিপোটি বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে। তবে ডিপোর বেশিরভাগ বাসই ১০-১৫ বছরের পুরোনা হওয়ায় আয় বাড়ছে না। উপরন্তু পরিচালন ব্যয় ও মেরামত খরচও বেশি।
প্রয়োজনীয় বাস না থাকায় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সাথে বরিশালের বাতানুক‚ল পর্যটক বাস সার্ভিস চালু করা যায়নি। অথচ ঢাকা থেকে নৌপথে প্রতিদিন শতশত পর্যটক বরিশালে পৌঁছে কুয়াকাটার মানসম্মত যানবাহন খোঁজ করেন। এছাড়াও বরিশাল বাস ডিপো থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে খুলনায় বিআরটিসির কোন বাতানুক‚ল সার্ভিস নেই। অথচ প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ বিভিন্ন কাজে এ দুটি বিভাগীয় সদরে যাতায়াত করেন।
বর্তমানে বরিশাল ডিপো থেকে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি পর্যন্ত বাতানুক‚ল বাস সার্ভিস রয়েছে। রংপুর, রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কানসাট, সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ, কুয়াকাটা থেকে বরিশাল হয়ে চট্টগ্রাম এবং খুলনা, যশোর ছাড়াও গোপালগঞ্জ রুটে যাত্রীবাহী বাস চলছে। এছাড়াও বরিশাল থেকে পাথরঘাটা, আমুয়াসহ কয়েকটি রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে। তবে বেশিরভাগ বাসই পুরানো ও মানসম্মত না হওয়ায় যাত্রীদের অনেক দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে।
এসব বিষয়ে বিআরটিসির বরিশাল বাস ডিপোতে সদ্য যোগ দেয়া ডিজিএমের (অপারেশন) সাথে আলাপ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। তবে ডিপোটির সার্বিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, সদর দফতরকে প্রতিটি রিভিউ মিটিংয়ে সার্বিক অবস্থা অবহিত করা হয়। কর্তৃপক্ষ সার্বিক বিষয়ে সচেতন আছেন। উন্নয়নের জন্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন