শিমের রাজা আশ্বিনা। শাক-সবজির জেলা হিসেবে পরিচিত নরসিংদীর আশ্বিনা শিম সারা দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। আশ্বিন মাস ছাড়া এই শিমের ফলন ভালো হয় না বলে এর নাম রাখা হয়েছে আশ্বিনা শিম। স্বাদে গন্ধে কোন তুলনা নেই। অতি কচি অবস্থা থেকে বিচি পর্যন্ত এই শিমের বাজার মূল্য থাকে সবচেয়ে বেশি। চাহিদার ৬০ ভাগই পূরণ করে আশ্বিনা শিম। নরসিংদী থেকে উৎপাদিত হয়ে পাঠানো হয় ঢাকাসহ সারাদেশে।
কিন্তু এবছর আশ্বিন-কার্তিক পেরিয়ে অগ্রহায়নে পা দিয়েছে প্রকৃতি। এখনো আশ্বিনা শিম বাজারে আসেনি। অতিবৃষ্টির কারণে দু’মাস পিছিয়ে গেছে এ শিমের উৎপাদন। প্রতিবছরের মতো এবছর শ্রাবণ মাসেই রোপণ করা হয় এই শিম। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে দুই দুইবার শিমের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। অগ্রহায়ন মাসে এসে তৃতীয় বারের মতো রোপিত চারা গজিয়ে উঠেছে। পত্র-পল্লবে লতিয়ে উঠেছে শিমের মাচা। ফুলে ফুলে ভরে উঠছে দিগন্তবিস্তৃত মাচাগুলো। অনেক মাচায় কচি কচি শিম ধরতে শুরু করেছে। আর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এই সুস্বাদু আশ্বিনী শিম বাজারে আসবে বলে জানিয়েছে চাষিরা।
নরসিংদী রায়পুরা, বেলাবো, মনোহরদী, শিবপুর ও পলাশের গ্রামগুলোতে শিমের মাচায় বেগুনি, লাল ও সাদা ফুলে এক অপরূপ দৃশ্যর ধারণ করে। চাষিরা জানিয়েছেন, পাটের বাজার নষ্ট হয়ে যাবার পর নরসিংদীর অর্থকরী ফসল হচ্ছে শিমসহ বিভিন্ন শাক-সবজি। বিশেষ করে শীত মৌসুমে আশ্বিনিসহ বিভিন্ন প্রকার শিমই হচ্ছে প্রধান অর্থকরী ফসল। বৃষ্টি না হলে চৈত্র বৈশাখ মাস পর্যন্ত উৎপাদিত হয়। চাষিরা প্রতি সপ্তাহে এক বিঘার একটি মাচা থেকে ২০ থেকে ২৪ মণ শিম উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করতে পারে। বৃষ্টি ও রোগ বালাই না হলে একজন শিম চাষি একটি মাচা থেকে মৌসুমে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন