বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুমিল্লা নগরীর কলেজগুলোতে মেধাবীদের বাঁধভাঙা আনন্দ

প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : কলেজের গÐি শেষ। এইচএসসির পাঠ চুকিয়ে এবার বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, মেডিকেলে পড়ার পালা। আনন্দ-উচ্ছ¡াসে জেগে উঠা শিক্ষার্থীদের মনেপ্রাণে জমে ছিল আগামীর স্বপ্নের কথা। এসএসসির ভালো ফলাফলের সময় তারাই বলেছিল কেউ চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক হবে। তাদের সেই ইচ্ছা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে নিতে এইচএসসির ফলাফলেও নিজেদের সেরা প্রমাণ করবে এমন অঙ্গীকারের কমতি ছিল না। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে এইচএসসির ফল প্রকাশের পর কুমিল্লা নগরীর কলেজগুলোতে নেমেছিল মেধাবীদের বাঁধভাঙ্গা আনন্দের জোয়ার।
গতকাল দুপুরে কলেজ আঙ্গিনায় বোর্ডে টানানো কাক্সিক্ষত ফলাফল দেখে মেধাবিরা স্বপ্ন পূরণের নতুন পথে এগুবার আনন্দে মেতে উঠে। কলেজের গÐি শেষ হওয়ায় আরও বেশি উদ্বেলিত হয়ে উঠে সহপাঠীদের ধরে। আনন্দ-উচ্ছ¡াসে জেগে উঠা শিক্ষার্থীরা জানান দেয় আগামীর স্বপ্নের কথা। মেধাবীদের আনন্দ দৃশ্য জানান দেয় তারা আগামীর স্বপ্নের পথের প্রকৃত মানুষ হতে চায়। নিজেদের মেধা, শিক্ষকদের দক্ষতা, অভিভাবকদের অনুপ্রেরণা ও সচেতনতাই পরীক্ষায় সাফল্য এনে দিয়েছে এমন দাবি মেধাবীদের। কুমিল্লা বোর্ডে এবারে কুমিল্লা শহরের মনোহরপুরে অবস্থিত সরকারি মহিলা কলেজে মেয়েদের আনন্দের মাত্রাটা ছিল অনেকটা ভিন্ন। গত বছরের চেয়েও এবারে ভালো ফলাফল অর্জন করেছে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের মেয়েরা। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষায় অনিয়মিত এবং মানোন্নয়নের প্রায় সাড়ে ৪শ’ পরীক্ষার্থীসহ ১ হাজার ৬২৮ জন ছাত্রী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্র্য হয় ১ হাজার ১৭৪ জন।
কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ ছাত্রী। বিজ্ঞানে পাসের হার ৯১ দশমিক ১৮ ভাগ। ব্যবসা শিক্ষায় ৮২ দশমিক ৯৪ ভাগ এবং মানবিকে ৫৩ দশমিক ১২ ভাগ। কুমিল্লার বেশির ভাগ কলেজেই মানবিকের শিক্ষার্থীরা খারাপ ফল করেছে। ফল প্রকাশের আনন্দঘন মুহূর্তে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কলেজের বিজ্ঞানের ছাত্রী সানজিদা, আফরোজ ও ফারিয়া জানায়, প্রাইভেট বা নোট নির্ভর লেখাপড়ার চাইতে মনোযোগ দিয়ে পাঠ্যবই পড়া এবং নিয়মিত ক্লাস করলে ভালো ফলাফল অর্জন সম্ভব।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম আবদুল ওহাব বলেন, ‘নারী শিক্ষার একটি অন্যতম সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ কলেজের অতীত সুনাম ছিল। যা আমরা পুনরুদ্ধারে আশার আলো জেগে তুলতে সক্ষম হচ্ছি। ফলাফলের দিক থেকে প্রতিবছরই উন্নতির পথে এগুচ্ছে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ। আগামীতে শতভাগ পাসের বিষয়ে আমাদের সব চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ কলেজ উপাধ্যক্ষ সৈয়দা বিলকিস আরা বেগম বলেন, ‘সার্বিকভাবে আমাদের কলেজের ফলাফল অনেকটা ভালো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোচিং নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এনে ক্লাসমুখী করে তুলছি বলেই ফলাফল ভালো হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন