ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার ধামরাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ধামরাই প্রতিনিধি বাবুল হোসেনসহ ৩ সাংবাদিক বুধবার সন্ধ্যার পর বাল্যবিবাহের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বর ও কনের পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করেছে। শুধু পিটিয়ে আহত নয় তাকে হত্যা করার জন্য ও প্রস্তুতি নিয়েছিল।
স্থানীয় এক ইউপি সদস্য গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে ধামরাই সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জরুরী সভা করেছে ধামরাই প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
গতকাল সকালে আহত সাংবাদিককে দেখতে হাসপাতালে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এম এ মালেক। ধামরাই পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম কবির মোল্লা।
বুধবার রাতেই হাসপাতালে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডাক্তার শামীম রহমান, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ রেজাউল হক, ধামরাই পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শহিদুল্লা, ধামরাইয়ে কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক ও রাজনৈতিকবৃন্দ।
জানা গেছে, উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের শোলাবাড়ি (উত্তর দীঘলগ্রাম) গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে রেশমা আক্তার মাধ্যমিক শিক্ষার গন্ডির পেরুনোর আগেই গত বুধবার সন্ধ্যায় একই উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আলম মিয়ার সাথে তার বিয়ের আয়োজন করে পরিবারের লোকজন।
বিয়ে বাড়িতে সাংবাদিক দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বর ও কনের পক্ষ। শুধু তাই নয়, গালিগালাছও করতে থাকে অকথ্য ভাষায়। সাংবাদিকদের তথ্য দেয়া তো দূরের কথা তাদের সামনে বিয়ে পড়ানোর আনুষ্ঠানিকতাও শুরু করে। এমন অবস্থা দেখে ওই সময় সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ রেজাউল হকের নিকট ফোন করে বিষয় জানানোর জন্য।
ফোন করা দেখেই ফরহাদ ও ফারুকের নেতৃত্বে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। পরে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য তাকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি টেম্পুযোগে পাঠিয়ে দেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন