বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে ইসলামি সংগঠনগুলোর আপত্তির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান। এর আগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে ভারতীয় হাইকমিশনের তৈরি বিশেষ সংস্করণের হাতঘড়ি উন্মোচন করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে কয়েকটি ইসলামি সংগঠন। ‘এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ বা সরকার নীরব, কোনো ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না’ দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে নিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখন করোনা আক্রান্ত। হয়তো তিনি এখন সামনে আসবেন না। উনি হয়তো আপনাদের সঙ্গে কথা বলবেন বা ওনার সাথে আপনারা আলাপ করতে পারেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। দু’দেশের সম্পর্কের আলোক শিখা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ইন্দিরা গান্ধীর ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি’তে এসেও দীপ্যমান।
সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ আঞ্চলিক ইস্যু এবং এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অভিন্ন প্রতিবন্ধতার বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুই সরকার প্রধান কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তি সময়ে গড়ে ওঠা সন্দেহ ও অবিশ্বাসের কৃত্রিম দেয়াল ভেঙ্গে এখন রচিত হয়েছে আস্থা ও সৌহার্দের সেতু।
তিস্তার পানি বন্টনের বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ইতোমধ্যে অনেক অমীমাংসিত সমস্যা সমাধান হয়েছে। ভারতের হাইকমিশনার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জাতির পিতা হলেও তিনি ভারতীয় জনগণের কাছে বীর। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসার পথে ভারতীয় জনগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে উষ্ণতা ও ভালবাসা দেখিয়েছিলেন তা তিনি স্মরণ করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলে এসময় মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন