আমার নিস্পাপ ছেলে শামীম মিয়া (১৩)-কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার সাথে তো এলাকার কারো কোনো শত্রুতা ছিল না। আমাদের সাথেও কারো শত্রুতা নেই। রামদিয়া শ্রীকৃষ্ণ শশী কমল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণিতে আমার ছেলে পড়তো। আমার ছেলে খুবই মেধাবী ছিল। কিছু দুর্বৃত্তরা ব্যাটারি চালিত ভ্যান ছিনিয়ে নিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি ছেলের শোকে দিশেহারা। আমার স্বামী ট্রাক চালক। ছেলে হত্যা মামলা চালানোর মতো সঙ্গতি আমদের নেই। হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার তিনি দাবি জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান করে স্কুলছাত্র শামীম মিয়ার মা জেসমিন বেগম এ দাবি জানান। তিনি তার স্বামী মো. অরিফ মিয়া ও ভাসুর মো. মোক্তার মিয়াকে সাথে নিয়ে ছেলে হত্যার বিচারের দাবি সম্বলিত পোস্টার হাতে নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। হত্যাকান্ডের শিকার স্কুলছাত্র শামীম মিয়া কাশিয়ানী উপজেলার সাফলীডাঙ্গা গ্রামের মো. আরিফ মিয়ার ছেলে। স্কুলছাত্র শামীম মিয়ার পিতা আরিফ মিয়া জানান, করোনার মধ্যে শামীমের স্কুল বন্ধ রয়েছে।
তাই ১ মাস আগে সে পার্শ¦বর্তী ওড়াকান্দি গ্রামের সুমন তালুকদারের কাছ থেকে একটি ব্যাটারী চালিত ভ্যান গাড়ি ভাড়া নিয়ে যাত্রী পরিবহন করে রোজগার শুরু করে। শামীম গত ২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন তিনি এ ঘটনায় কাশিয়ানী থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। গত ৫ নভেম্বর কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের বসবাসরত খালের কচুরিপানার মধ্য থেকে পুলিশ শামীমের লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে গত ৫ নভেম্বর শামীমের লাশ দাফন করা হয়। ওই দিন রাতেই কাশিয়ানী থানায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন