আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাটে চলতি মৌসুমে ৪০ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। আলু চাষ সফল করতে ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ জানায বার্ষিক ফসল উৎপাদন কর্মসূচীর আওতায় চলতি ২০২০-২১মৌসুমে জেলায় ৪০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু লাগানাের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতােমধ্যে ৯০ ভাগ অর্থাৎ ৩৮হাজার হেক্টর জমিতে আলু লাগানাে সম্পন্ন হয়েছে ।
কৃষি বিভাগ জানায়, আলু চাষ সফল করতে জেলায় সারেরমজুত পর্যাপ্ত রয়েছে। নভেম্বর মাসের মজুত সারের পরিমানছিল ইউরিয়া ৩ হাজার ৭৫৭ মে. টন, টিএসপি ২ হাজার ৩৬৬মে.টন, এমওপি ৩ হাজার ৩৫০ মে. টন ও ডিএপি ২ হাজার১৭৫ মে. টন। এর সঙ্গে ডিসেম্বর মাসের চাহিদার মধ্যে রয়েছেইউরিয়া ৫ হাজার ৩৪৫ মে. টন, টিএসপি এক হাজার ৩১৮ মে
টন, এমওপি এক হাজার ৯৩১ মে. টন ও ডিএপি এক হাজার ৭৮৮ মে. টন সার। জেলায় আলু বীজ নিয়ে অধিক মুনাফালােভী কিছু ব্যবসায়ী সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করলেও প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়।
বিএডিসি'র বীজ বিপণন বগুড়া ওজয়পুরহাট অঞ্চলের উপ-পরিচালক মােহা: শহিদুল্লাহ আল
মামুন বলেন, উন্নত জাতের 'এ' গ্রেড আলুবীজ প্রতিমণ১হাজার ৮৮০ এবং বি গ্রেড ১ হাজার ৮৪০ টাকা কৃষকের কাছেবিক্রির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলায় মােট বরাদ্দ ওয়াহয়েছে ডিলার পর্যায়ে ১ হাজার ৮০০ এবং কৃষক পর্যায়ে ৪০০টন। বাজারে পর্যাপ্ত বিএডিসি আলুবীজ সরবরাহ রয়েছে।
ভালাে মানের কারণে বিএডিসির আলুবীজের যে পরিমাণচাহিদা থাকে মজুত না থাকায় তা সরবরাহ করা যায় না। তবেআগামীতে বরাদ্দ বাড়ানাের উদ্যোগ নেয়া হবে।।
জেলায় আলু চাষ সফল করতে কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও কৃষকদেরপরামর্শ প্রদান করছেন বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণঅধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স.ম মেফতাহুল বারি।জয়পুরহাটের আলু উন্নত মানের হওয়ায় গত বছর দেশের গন্ডি
পেরিয়ে ৯ টি দেশে রপ্তানী করা হয়। দেশ গুলাে হচ্ছে মালেশিয়া,সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব,কুয়েত, নেপাল ও রাশিয়া। প্রাচীন বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণজমিতে আলুর চাষ হয়ে থাকে।
গত বছর ৩৮ হাজার ৫শ ৩০হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এতে আলু উৎপাদন হয় ৮লাখ ১৫ হাজার মে: টন। ফলন ভােলা হওয়ায় জেলায়গ্যানােলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্টোরিকস, কার্ডিনাল, ও রােজেটা জাতের আলু বেশি চাষ করে থাকেন কৃষকরা। জেলার১৫ টি কোল্ড স্টোরেজে প্রায় দেড় লাখ মে: টন আলু সংরক্ষণকরা সম্ভব হয় বলে জানায়, কৃষি বিভাগ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন