শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পরকীয়া টিকিয়ে রাখতে কয়েক মিলিয়ন ডলার খরচ করেন দুবাই শাসকের স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০২০, ১০:০৯ এএম

দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ আল মাখতুমের স্ত্রী ও প্রিন্সেস হায়া তার বডিগার্ডের সাথে পরকীয়া প্রেমে মজেছিলেন। শুধু তাই নয়, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে তার প্রেমিককে কয়েক মিলিয়ন ডলার ও ১২ হাজার ডলার দামের ঘড়ি উপহার দেন প্রিন্সেস।
হায়া ছিলেন দুবাইয়ের শাসক ও বিলিয়নিয়ার শেখ মোহাম্মদ আল মাখতুমের ৬ষ্ঠ স্ত্রী। প্রিন্সেসের পরকীয়া প্রেমের জেরে তাদের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্কের অবসান ঘটে।
সন্তানদের অপহরণ ও জোরপূর্বক দুবাইয়ে ফেরত নিয়ে অপচেষ্টার অভিযোগে স্বামী ও দুবাইয়ের শাসকের বিরুদ্ধে লন্ডনের পারিবারিক আদালতে মামলা করেন প্রিন্সেস হায়া। এ নিয়ে আদালতে শুনানির পর প্রিন্সেসের সাথে বডিগার্ডের অনৈতিক প্রেমের বিষয়টি খবরে উঠে আসে।
গণমাধ্যমের কাছে প্রিন্সেস ও তার প্রেমিক রাসেল ফ্লাওয়ারের সম্পর্কের খুটিনাটি বিষয়গুলো মেইল অনলাইনের কাছে তুলে ধরেন রাসেলের সাবেক স্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনরা। তারা জানায়, ৩৭ বছর বয়স্ক প্রেমিক রাসেল ফ্লাওয়ার কিভাবে ৪৬ বছর বয়সী প্রিন্সেসের দ্বারা প্রলুব্ধ হয়েছিল। সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে তিনি তার প্রেমিককে ১২ হাজার ডলার দামের ঘড়ি এবং ৫০ হাজার ডলারের শর্টগানও উপহার দেন।
এ ঘটনায় প্রেক্ষিতে স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে প্রিন্সেসের প্রেমিক রাসেল ফ্লাওয়ারের চার বছরের বিবাহিত জীবনের অবসান ঘটে।
রাসেলের স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মেইল অনলাইনকে জানান, তার স্বামী মূলত প্রিন্সেস হায়ার টাকা এবং উপহার সামগ্রীর দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। প্রিন্সেস সব সময় দামি উপহার দ্বারা প্রমাণ করতেন যে, তিনি সব সময় তার প্রেমিকের পাশেই আছেন।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রিন্সেস বিদেশ যাত্রায় সব সময়ই রাসেলের সাথে পাশাপাশি রুমে অবস্থান করতে চাইতেন। তিনি যখন যুক্তরাজ্যে থাকতেন, প্রতি রাতেই প্রেমিক রাসেলের সাথে বের হয়ে যেতেন। এমনকি কখনো কখনো সকাল পর্যন্ত বাসায় ফিরতেন না।
রাজকীয় প্রাসাদে রাসেল ফ্লাওয়ার পাঁচ বছর প্রিন্সেসের রক্ষী হিসেবে সেবা করেন। ২০১৬ সালে পুরো সময় জুড়েই তিনি বিদেশ যাত্রায় প্রিন্সেসের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে থাকতেন।
রাসেলের স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমকে জানান, প্রতি রাতেই বাসায় ফেরার পর রাসেলের মোবাইলে প্রিন্সেসের ফোন এবং ম্যাসেজ আসতো। এ সময় তিনি সিকিউরিটি বাহিনীর সদস্যদের ফোন বলে স্ত্রীকে আশ্বস্ত করতো। কিন্তু প্রতি ঘন্টাতেই এমন কল আসতো। কখনো কখনো প্রিন্সেসের সন্তানদের কণ্ঠ শোনা যেত।
প্রিন্সেসের দেয়া উপহার সম্পর্কে রাসেলের সাবেক স্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনরা জানান, প্রিন্সেস হায়া জট৫৫ঊখখঝ নামে একটি ব্যক্তিগত নাম্বারও বানিয়ে দিয়েছিলেন।
তবে দুবাইয়ের শাসক সব সময়ই স্ত্রীর বডিগার্ডদের বিষয়ে উদার ছিলেন। কখনোই জানতে পারেননি স্ত্রীর অবৈধ প্রেমের খবর। দুবাই শাসক কখনো কখনো তার স্ত্রী হায়ার রক্ষীদের ৫ থেকে ১৫ হাজার ডলার টিপস দিতেন। কিন্তু রাসেলের গিফট থাকতো অনেক বেশি পরিমান অর্থ।
ডেইলি মেইল অনলাইন তাদের অনুসন্ধানে নিশ্চিত হয়েছে যে, রাসেল ফ্লাওয়ারের সাথে প্রিন্সেস হায়ার প্রেমের ঘটনা আরো ৩ জন বডিগার্ড জানতো। তাদেরকেও সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে ১২ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন প্রিন্সেস।
রাসেলের সাথে তার স্ত্রীর সম্পর্ক ছিলো ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের। কিন্তু এমন একটা ঘটনা তাদের সম্পর্কের ইতি টানতে বাধ্য করে। রাসেলের স্ত্রীর পরিবারের এক সদস্য গণমাধ্যমে বলেন, বিবাহিত একজন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনায় রাসেলের লজ্জিত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, প্রিন্সেস হায়ার অপরাধেরও কোনো ক্ষমা নেই। তাদের এই অনৈতিক সম্পর্কের কারণে অনেকগুলো জীবন ধ্বংস হয়ে গেলো।
সম্প্রতি প্রিন্সেস হায়া তার স্বামীর সাথে আইনি লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন। হায়ার স্বামী দুবাইয়ের শাসক তার দুই সন্তানকে তার কাছে নিয়ে যেতে চান।
ব্রিটেনের পারিবারিক আদালতের বিচারক অ্যান্ড্রু ম্যাকফ্রালেন্স রাসেল ফ্লাওয়ারের সাথে হায়ার সম্পর্কের প্রমাণ হাতে পেয়েছেন। তবে রক্ষীর সাথে প্রেমের ক্ষেত্রে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেয়ায় রায় হায়ার পক্ষেই যায়।
বিচারক প্রমাণ পেয়েছেন যে, দুবাইয়ের শেখ অর্থাৎ প্রিন্সেসের সাবেক স্বামী ভয়ভীতির মাধ্যমে বিচ্ছেদে বাধ্য করেছেন। প্রিন্সেস হায়া বর্তমানে লন্ডনের কেনসিংটনে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। সূত্র- মেইল অনলাইন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Sajib Muhammad Wfia Anho ২২ নভেম্বর, ২০২০, ১১:১৮ এএম says : 0
এরা হচ্ছে ইহুদি।
Total Reply(0)
Abdul Ali ২২ নভেম্বর, ২০২০, ১১:১৮ এএম says : 0
এদের রুট ইহুদি। যার কারনে দুবাই ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক করেছে
Total Reply(0)
Jack Ali ২২ নভেম্বর, ২০২০, ১১:৪২ এএম says : 0
This UAE their ruler and their wife are all heinous criminals.. This women should be killed according the Law of Allah.. Stoning to death.. This criminal spread indecency among muslim world. Allaah says (interpretation of the meaning): [al-Noor 24:31] “And tell the believing women to lower their gaze (from looking at forbidden things), and protect their private parts (from illegal sexual acts) and not to show off their adornment except only that which is apparent (like both eyes for necessity to see the way, or outer palms of hands or one eye or dress like veil, gloves, headcover, apron), and to draw their veils all over Juyoobihinna (i.e. their bodies, faces, necks and bosoms) and not to reveal their adornment except to their husbands, or their fathers, or their husband’s fathers, or their sons, or their husband’s sons, or their brothers or their brother’s sons, or their sister’s sons, or their (Muslim) women (i.e. their sisters in Islam), or the (female) slaves whom their right hands possess, or old male servants who lack vigour, or small children who have no sense of feminine sex. And let them not stamp their feet so as to reveal what they hide of their adornment. And all of you beg Allaah to forgive you all, O believers, that you may be successful” Say to them (O Muhammad!) ‘Do not even draw near to things shameful–be they open or secret’…” (Quran 6:151) Allah has mentioned this instruction along with shirk and murder which means that Allah considered shameful things like pornography among the major sins . Allah knows best. He knows His creation. He knows that we are weak. Therefore, He likes us to stay away from shameful things. Those who Propagate Shameful things among the Believers “Verily those who love that indecency should spread among the believers deserve a painful chastisement in the world and in the Hereafter. Allah knows, but you do not know.” Quran 24:19 The words used in the verse (fahishatu) embrace all the various forms that might be used to spread shameful and lewd behavior though any means be it pictures, films, drama, dancing, singing or internet.
Total Reply(0)
shawon ২৩ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ এএম says : 0
এরা হচ্ছে .....................। এদের কোন রকমের অপকর্ম করতে লজ্জা বোধ হয় না। আল্লাহর গজব আমাদের উপর নাযিল হোক।
Total Reply(0)
Md Habib ২৪ নভেম্বর, ২০২০, ৩:৫৭ পিএম says : 0
অন্যের জন্য কিছু খারাপ আশা করাটা এটাও খারাপ কাজ কিন্তু আমি দুবাইয়ের বর্তমান অবস্থার পরিপেক্ষিতে বলতেছি এরা একদিন মাটির সাথে মিশে যাবে তাদের গর্ব ও অহংকার তাদের একদিন পতনের মূল হবে তারা ইসলাম এবং মুসলমানদের সাথে যে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেছে তার জন্য তাদেরকে একদিন আফসোস করতে হবে কিন্তু তাদের কিছু লাভ হবে না
Total Reply(0)
shamol ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ১০:১৩ পিএম says : 0
its a fake news to save sheik.
Total Reply(0)
Safiul ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:২৮ পিএম says : 0
This is the character of Dubai emperor & his wife then what about the other & this is the reason behind agreement with Jews Israel.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন