সংযুক্ত আরব আমিরাত চীনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং বলেছে যে, তারা স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক শান্তির উপর ‘উস্কানিমূলক সফরের’ প্রভাব সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক বিবৃতিতে, সংযুক্ত আরব আমিরাত বলেছে যে, তারা ‘চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন নিশ্চিত করেছে’ এবং ‘এক-চীন’ নীতির গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে।
চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসাবে দেখে এবং দ্বীপটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনে তারা শক্তি প্রয়োগ করতেও প্রস্তুত। সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রাসঙ্গিক জাতিসংঘের রেজুলেশন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে এবং ‘ভারসাম্য, স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক শান্তির উপর যে কোনো উস্কানিমূলক সফরের প্রভাবের বিষয়ে তার উদ্বেগের ইঙ্গিত দিয়েছে’।
তারা ‘আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার’ প্রচেষ্টায় কূটনীতি এবং সংলাপকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্তব্যটি মার্কিন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির স্ব-শাসিত দ্বীপ সফরে যাওয়ার কয়েকদিন পরে এসেছে। সফরের প্রতিক্রিয়ায়, চীন বড় আকারের সামরিক মহড়া শুরু করেছে এবং তাইওয়ানের চারপাশের সমুদ্রে একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
তার সংক্ষিপ্ত সফরের সময়, পেলোসি প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন এবং তাইওয়ানের সংসদ সদস্যদের সাথে দেখা করেন, তাদের প্রতি মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীনের সাথে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখলেও, তাইওয়ানের বিষয়ে ‘কৌশলগত অস্পষ্টতার’ নীতি অনুসরণ করে এবং ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের দ্বীপটিকে আত্মরক্ষার জন্য সাহায্য করতে চুক্তি দ্বারা আবদ্ধ। সূত্র: আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন