শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বড়পুকুরিয়ায় অবৈধভাবে কয়লা আহরণ

খনির পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ফুটা করে

প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূগর্ভের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ফুটা করে খনির মূল্যবান কয়লার ডাস্ট আহরণ করছে খনি এলাকার একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। অদৃশ্য কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছেন খনি প্রশাসন।
জানা গেছে, খনির ভূগর্ভের পানি নিষ্কাশনের কারণে ওই পানির সাথে ভেসে আসছে খনির মূল্যবান কয়লার ডাস্ট। এই কয়লার ডাস্ট আহরণের জন্য খনির মধ্যে কয়লার ডাস্ট আহরণ সেন্টার থাকলেও সেখানে ডাস্ট আহরণ না করে পানির সঙ্গে বের করে দেয়া হচ্ছে। আর পানি নিষ্কাশনের ড্রেনে শত শত ফুটা করে ওই ডাস্ট আহরণ করছে খনি এলাকার একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। কয়লার ডাস্ট আহরণ করে সিন্ডিকেট মহলটি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা মূল্যের কয়লা। আর অদৃশ্য কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে খনি প্রশাসন।
সরেজমিন খনি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খনিটির দক্ষিণ পার্শে¦ পানি নিষ্কাশনের পাকা ড্রেনটি প্রায় অর্ধশত স্থানে ফুটা করেছে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। এই ফুটা দিয়ে বের করে নেয়া হচ্ছে ভূগর্ভ থেকে ভেসে আসা মূল্যবান কয়লার ডাস্ট ও ছোট ছোট কয়লার গুঁড়া। এই কয়লার গুঁড়া আহরণ করার জন্য সিন্ডিকেট মহলটি ৮ ঘণ্টা ডিউটিতে ৬ দলে ৩২ জন মহিলা শ্রমিক নিয়োগ করেছে। তারা দিনরাত কয়লার ডাস্ট ও কয়লা আহরণ করছে। এ বিষয়ে খনির জিএম প্রশাসন শরীফুল হক-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কয়েকদিন পরেই এই কয়লার সেচকৃত পানি তাপবিদ্যুতে ব্যবহার হবে তখন এই ডাস্ট আহরণ বন্ধ হয়ে যাবে। এখন কেন বন্ধ হচ্ছে না এই প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, খনির গেটে বসবাসরত জনৈক মজিবর নামে এক ব্যক্তি ওই এলাকায় তার জায়গা থাকার সুযোগে খনির কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটি ফুটা করে মূল্যবান কয়লার ডাস্ট আহরণ করছে। এ বিষয়ে মজিবরের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি তবে কথা হয় তার ছেলে সাদেকুলের সঙ্গে। সাদেকুল জানায়, উপর মহলকে ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা করছি আমরা।
এলাকাবাসীরা জানায়, ড্রেন থেকে আহরণকৃত কয়লা নিম্নদরে বাজারজাত করায় ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খনির কয়লা ব্যবসায়ীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, খনির ডাস্টের মূল্য ৮ হাজার টন হলেও এই কয়লা ৫ হাজার টনে বিক্রি করছে। এতে খনি থেকে নেয়া কয়লার ডাস্ট ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগস্ত হচ্ছে। এজন্য তারা পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ফুটার ব্যবসা বন্ধ করতে খনি কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন