সাতক্ষীরায় নবাজাতক ও কৃষক হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন নিয়ে জেলা পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করেছে। শনিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় পুলিশ লাইনের টিন সেডে হত্যা দুটি নিয়ে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালী গ্রামের অতি দরিদ্র সোহাগ হোসেন (২৫) ও ফাতেমা (২০) দম্পত্তি। তাদের ১৫ দিনের নবজাতক মায়ের পাশ থেকে গত বৃহস্পতিবার বিকালে চুরি হয়ে গেছে বলে প্রচার করা হয়। ঘটনার পরপরই তদন্ত কাজ শুরু করে পুলিশ। জিঙ্গাসাবাদের একপর্যায়ে বাবা ও মায়ের স্বীকারোক্তি মতে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা-মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত শিশুটির বাবার চাপে মা শিশুটিকে হত্যা করে সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয়। হত্যার কারণ হিসেবে তারা বলছেন, শিশুটি জন্মের পর থেকে অসুস্থ। হার্ট, ব্রেন, এ্যাজমাসহ নানান সমস্যা ছিলো শিশুটির। এই বাচ্চাকে বড় করতে গেলে নিজেরাই অসুবিধায় পড়বেন ভেবে পরিকল্পিতভাবে বাবা ও মা দুজন মিলে তাকে হত্যা করে সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় বাবা-মাকে আটক করা হয়েছে। মামলা হয়েছে।
অপরদিকে, গত ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব কৃষক মোসলেম আলী বিশ্বাসকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তার জামাই আবুল কালাম আজাদ (৩৯) ও জামাইয়ের ভাতিজা হাবিব ইসলাম (১৯)কে আটক করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যায় ব্যবহুত ছুরি, গ্লাভসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। এটিও একটি পরিকল্পিত হত্যা উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, আবুল কালাম আজাদ একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। তার শিক্ষাগত সনদ জাল প্রমান হওয়ায় ওই মাদরাসার সুপারের সাথে মনোমানিল্যের সৃস্টি হয়। সুপারকে ফাঁসানোর জন্য আবুল কালাম আজাদ তার ভাতিজা হাবিবকে দিয়ে শ্বশুর মোসলেম আলীকে হত্যা করায়। তিনি বলেন, মোসলেম আলীকে প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাকে জবাই করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, হাবিবকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীর জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আর আবুল কালাম আজাদকে আরো জিঙ্গাসাবাদ করার জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন