রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় পদ্মা নদীতে ২৬ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে। সেই কাতল মাছ ধরতে পেয়ে মহাখুশি জেলে মেহেদী হাসান। গত বৃহস্পতিবার রাতে পদ্মায় মাছ ধরতে নেমে বিশাল আকৃতির এই মাছটি ধরা পড়ে।
গত শুক্রবার সকালে গোদাগাড়ী রেলবাজার আড়তে মাছটি বিক্রি করতে আসলে মাছটি দেখে ক্রেতাসহ জনসাধারণ দেখতে ভীড় জমায় ও ছবি তুলতে থাকে। জেলে মেহেদী হাসান জানান, সচারচর বড় আকৃতির কাতল মাছ আমাদের জালে ধরা পড়ে না। মাছটি ধরতে পেরে খুব ভালো লাগছে। মাছটি ওজনে ২৬ কেজি ও আকারে বড় হওয়াতে অনেকের নজরে পড়েছে এতে সবাই দেখতে আসছে। মাছটি ১১৮০ টাকা পাইকারী কেজি দরে বিক্রি করেছি সেই হিসেবে মাছটির দাম পড়েছে ৩০৬৮০ টাকা। দাম পেয়েও মহাখুশি এই জেলে।
তবে এবার শুধু কাতল মাছ বলে নয় গত কয়েক বছর হতে গোদাগাড়ী পদ্মানদী এলাকায় বাঘাইড় ও পাঙ্গাস মাছ ৫ কেজি হতে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ কেজি ওজনের মাছ ধরা পড়েছে। দেখা গেছে প্রতি কেজি পাঙ্গাসের মূল্য পরে প্রায় ৭০০-৮০০ টাকা, বাঘাইড় প্রতি কেজি ৬০০-৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মৎস্য আড়তে মাছ বিক্রি করতে আসা জেলে জামাল হোসেন জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার নদীতে বেশি বেশি পাঙ্গাস ধরা পরছে। প্রত্যেক দিন সবাই মাছ পাচ্ছে দামও ভাল পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া রেলওয়ে বাজার মৎস্য আড়তদারদের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তারা জানান, জাটকা ইলিশের মতো যদি সরকার পাঙ্গাসের বাচ্চা বিক্রি বন্ধ করে তাবে ভবিষ্যতে আরো অনেক পাঙ্গাসের দেখা মিলবে। এ প্রসঙ্গে গোদাগাড়ী সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামসুল করিম বলেন, গোদাগাড়ীর রেলবাজার হতে সুতানগঞ্জ পর্যন্ত মাটিতে কঙ্গর জাতীয় খাবারের প্রাচুর্যতা থাকায় এসব মাছের দেখা মিলছে এবং এসব অঞ্চলকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে মনে করছে। এগুলি সংরক্ষণ করা হলে, মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। রেলবাজার মাছের আড়ৎ গুলোতে চলছে জমজমাটভাবে মাছের ব্যবসা। কাঁক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে এ আড়ৎ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন