শুক্রবার রাতে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় রোববার মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন হামলায় আহত মো. মারুফ। ওই মামলায় ৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে একই দিনে এক যুবদল কর্মীর ওপর হামলা, জেলা বিএনপির একটি কার্যালয় ভাঙচুর ও বোমা হামলার ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
মাগুরা সদর থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার হামলায় আহত মো. মারুফ মাগুরা শহরের কেশব মোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. আশরাফুজ্জামান শামীমসহ ৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার অধিকাংশ আসামিই বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মী বলে জানা গেছে।
মামলা হওয়ার পর থেকেই গ্রেপ্তার–আতঙ্কে ভুগছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা–কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা করা হয়েছে।জেলা যুবদলের সভাপতি ওয়াসিকুর রহমান বলেন, ‘পরিকিল্পিতভাবে সরকারদলীয় নেতা–কর্মীরা অস্ত্র নিয়ে শহরে মহড়া দিলেন। যুবদল কর্মী মাহাবুবুর রহমানকে কোপানো হলো, জেলা বিএনপির কার্যালয়সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটল। আবার আমাদের নামেই তারা মামলা দিল
জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর বা যুবদল কর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় কোনো মামলা করেছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে যুবদল নেতা ওয়াসিকুর রহমান বলেন, গত মাসে ক্ষমতাসীনদের গায়েবি এক মামলায় ইতিমধ্যে অনেক নেতা কারাগারে। অন্যরাও এখন গ্রেপ্তার–আতঙ্কে। যে পুলিশের কাছে মামলা করতে যাবেন, সেখানেই তাঁরা সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ। তাহলে মামলা করতে থানায় কে যাবেন আর কেন যাবেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে কোন মামলা করা হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন