প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেছেন, গণমাধ্যমে দুর্দিন চলছে। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আঞ্চলিক সংবাদপত্র। এসব টিকিয়ে রাখতে রাষ্ঠ্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। না হলে মফস্বল সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্র হুমকির মুখে পড়বে।
গতকাল বিকালে পিআইবির উদ্যোগে যশোর সার্কিট হাউজে আয়োজিত তিন দিনব্যাপি ‘সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ কর্মশালা শেষে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, করোনায় অন্য পেশার তুলনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সংবাদপত্র। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পুলিশ নার্সের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও তাদের দায়িত্ব পালন করছে। সবাই বেতন ঠিক মতো পেলেও সাংবাদিকদের অবস্থা করুণ। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আঞ্চলিক সংবাদপত্র। টিম টিম করে চলছে এ সংবাদপত্রগুলো। সংবাদপত্র যাদের জন্য সেই পাঠকই নেই। সরকার তথ্য অধিকার আইন সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্রকে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
একই সাথে সাংবাদিকতায় এখন ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেকটাই সুবিধা এনে দিয়েছে। এখন সংবাদপত্র মানে চ্যালেঞ্জ, টিকে থাকার লড়াই। করোনা দুর্যোগে আমরা সংবাদপত্র ব্যাপক পরিবর্তন দেখছি। বর্তমানে পত্রিকার পাঠক কমে গেছে। মানুষ এখন অনলাইননির্ভর সংবাদপত্রে ঝুঁকে পড়েছে। পত্রিকা হাউজগুলোতে পরিবর্তন এসেছে। অনেক হাউজ এখন অনলাইন বা মাল্টিমিডিয়া হয়েছে। সেই সাথে আঞ্চলিক পত্রিকাগুলোতেও নিজস্ব ছাপাখানার পাশাপাশি পত্রিকার মানও বাড়ানোর জন্য পত্রিকার সংশ্রিষ্ঠদের উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। কর্মশালায় যশোরের কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার ৩৫ জন সাংবাদিক অংশ নেয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে তাদের হাতে সনদ তুলে দেন প্রধান অতিথি প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন