শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ক্যারিয়ার

জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং সৃষ্টি হচ্ছে নতুন কর্মক্ষেত্র

প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. নাজমুল হোসেন, দেশের অন্যতম সেরা ডিজিটাল মার্কেটার। ২০১৪ সালে বেসিস কর্তৃক তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ফ্রিল্যান্সার হওয়ার মর্যাদা লাভ করেন। একই বছর আমেরিকা থেকে প্রকাশিত ইল্যান্স-ওডেস্ক অ্যানুয়াল ইম্প্যাক্ট রিপোর্টে ফিচারড হন এই ডিজিটাল মার্কেটার। আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর দীর্ঘ দিনের এই পথচলায় তিনি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্কের মোবিলাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, অর্জন করেছেন গুগল অ্যাডওয়ার্ডস এবং গুগল অ্যানালিটিক্স সার্টিফিকেশন। বর্তমানে দেশের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এমসিসি লিমিটেডের হেড অব ট্রেনিং হিসেবে কর্মরত আছেন এবং মোবাইল ল্যাব’র সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি সরকারের বিভিন্ন আইটি বিষয়ক প্রজেক্টেও কাজ করেন। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের নানা বিষয় নিয়ে তিনি দৈনিক ইনকিলাবের মুখোমুখি হন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নুরুল ইসলাম 

ইনকিলাব: ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
নাজমুল হোসেন: ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত একটি তথ্যভিত্তিক আধুনিক বিপণন ব্যবস্থা, যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি তথা ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে বিক্রেতারা তাদের নির্দিষ্ট পণ্য নিয়ে সরাসরি সঠিক ভোক্তার নিকট পৌঁছাতে পারেন। যেমন ধরুন, আমরা যখন ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সাইন আপ করি, তখন আমাদেরকে নাম, জন্ম তারিখ, অবস্থান, আমি কী করছি ইত্যাদি বিষয়গুলো ফেসবুককে সরবরাহ করতে হয়। এই তথ্যগুলোর উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপনদাতারা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে থাকেন। এছাড়া প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো খোঁজ করছি গুগল কিংবা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে। সার্চ ইঞ্জিনগুলো আমাদের চাহিদার উপড় ভিত্তি করে তথ্য সরবরাহের পাশাপাশি আমাদের তাদের বিজ্ঞাপনগুলো দেখাচ্ছে। সহজ কথায়, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে খুব সহজেই নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে বিক্রেতারা তাদের বিজ্ঞাপন বা তথ্য ভোক্তার নিকট পৌঁছে দিতে পারেন এবং ভোক্তারাও তাদের চাহিদা মাফিক তথ্য পেয়ে উপকৃত হন। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজ করার বিভিন্ন ধরনের মাধ্যম রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো হল- সোশ্যাল মিডিয়া, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ই-মেইল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ভিডিও মার্কেটিং এবং সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং। বর্তমানে অন্যান্য যেকোন মাধ্যমের চেয়ে তরুণ থেকে বৃদ্ধ সবার কাছে এই ইন্টারনেট মাধ্যমগুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ফলে এর সাথে সাথে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিংও। দেশে বিদেশে এই সেক্টওে তৈরি হচ্ছে কাজের নতুন নতুন ক্ষেত্র। সিএমও কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মধ্যে ইন্টারনেট অ্যাডভার্টাইজিংয়ের বাজার হবে ১৯৪.৫ বিলিয়ন ডলার, যা প্রায় টিভি বিজ্ঞাপনের কাছাকাছি এবং এই সময়ে ইন্টারনেট অ্যাডভার্টাইজিংয়ের গড় প্রবৃদ্ধি হবে ১০.৭%।

ইনকিলাব: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কারা ভালো করতে পারে?
নাজমুল হোসেন: ডিজিটাল মার্কেটিংকে আমার কাছে এক ধরনের সায়েন্স মনে হয়। আমি মনে করি, যারা কোন কিছু নিয়ে বিশ্লেষণ বা গবেষণা করতে পছন্দ করে, তাদেরই উচিত ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করা। ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত ডাটাভিত্তিক একটি আধুনিক বিপণন ব্যবস্থা। যাদের আসলে ডাটা নিয়ে বিশ্লেষণ করার ইচ্ছা ও দক্ষতা আছে, সেই সাথে মার্কেটিংয়ের জ্ঞান আছে, পাশাপাশি মার্কেটিং নিয়ে পড়তে ভাল লাগে- তারা এ পেশায় ভাল করবে। সেই সাথে মানুষের সাইক্লোজি বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা যাদের আছে অথবা যারা এটা করতে পছন্দ করেন তারাও এ পেশায় ভাল করতে পারবে বলে আমার ধারণা। এছাড়া চেষ্টা করলে মানুষের পক্ষে প্রায় সব কিছুই সম্ভব। তাই শিক্ষিত ও কম্পিউটার জ্ঞান সম্পন্ন যে কেউই চেষ্টা করলে এই সেক্টরে ভালো করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে সেক্ষেত্রে ইচ্ছা শক্তি, কাজের প্রতি একাগ্রতা, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও সঠিক কর্মপদ্ধতি জানা থাকতে হবে।

ইনকিলাব: আপনি কেন এটাকে আপনার পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন?
নাজমুল হোসেন: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই পরিসংখ্যান তথা গবেষণা ও বিশ্লেষণধর্মী কাজগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগতো। পাশাপাশি লেখালেখির প্রতিও আমার কিছুটা জোঁক ছিল। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ জাতীয় লেখাগুলো পড়তাম। এক সময় মনে হলো, লেখাপড়ার পাশাপাশি এরকম গবেষণা ও বিশ্লেষণধর্মী কাজ করে যদি কিছু আয় করা যায় তাহলে মন্দ হয় না। তখন ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে খোঁজ পাই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের। প্রথমেই এ সম্পর্কে ব্যাপক পড়াশুনা করে নেই। এখানে তথ্য নিয়ে বিশ্লেষণের পাশাপাশি মানুষের সাইক্লোজি নিয়ে গবেষণা করার মাধ্যমে ইন্টারনেটভিত্তিক আধুনিক বিপণন ব্যবস্থার যে চিত্র ফুটে উঠে, সেটি আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি। ধীরে ধীরে কাজ করতে করতে এখন এটা পেশায় পরিণত হয়েছে। তবে আমি এখনও এটাকে আমার পেশা না বলে নেশা বলে থাকি। পুরো বিষয়টিই অনেক মজার এবং সৃজনশীল। আর তাই ডিজিটাল মার্কেটিংকে আমি বলে থাকি কেমিস্ট্রির উভয়মুখী বিক্রিয়ার মত।

ইনকিলাব: বর্তমানে পেশা হিসাবে এটা কতটুকু সম্ভাবনাময়?
নাজমুল হোসেন: যখন প্রথম এটা নিয়ে কাজ শুরু করি, তখন ভাবিনি যে এটা নিয়ে বাংলাদেশে একদিন বড় আকারে কাজ হবে, আমাদের বিপণন শিল্পে তথ্য প্রযুক্তি এত প্রভাব বিস্তার করবে। অবাক করা বিষয় হল, সম্প্রতি বাংলাদেশে অনেক ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি গড়ে উঠেছে, যেখানে কাজের অনেক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া এখন দেশের বড় কোম্পানিগুলো প্রত্যেকেই তাদের ডিজিটাল মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট গড়ে তুলছে। ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নের সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং জড়িত। যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্সের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, সেহেতু এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, পেশা হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক সম্ভাবনাময়। ইতিমধ্যে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিশ্বমানের কাজ হচ্ছে। সামনের দিনগুলো আসলে প্রযুক্তির দিন। তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক আধুনিক বিপণন ব্যবস্থা সামনের দিনে কতখানি গুরুত্ব পাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের তথ্যানুসারে, ‘২০১৪ সালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপনের পিছনে তাদের মোট রাজস্ব আয়ের ১০.২০% ব্যয় করেছে। এর এক-তৃতীয়াংশ ছিল ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে। ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছিলো ১৬.১% এবং ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে ১০ থেকে ১১% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬ সালে যা মার্কেটারদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে।’

ইনকিলাব: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কি কি সুবিধা ও অসুবিধা আছে?
নাজমুল হোসেন: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সুবিধা বলতে গেলে আসলে বলতে হবে এটি সহজভাবে, কম খরচে এবং ক্রেতার চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতাকে মাথায় রেখে বিক্রেতার টার্গেট অনুযায়ী বিক্রেতা এবং ক্রেতার মাঝে মেলবন্ধন তৈরি করা। এতে করে ক্রেতাও সন্তুষ্ট হন তার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পেয়ে, অপর পক্ষে বিক্রেতাও কম খরচে তার পণ্য ক্রেতার কাছে বিক্রি করতে পেরে আনন্দিত হন। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অসুবিধাগুলোকে আমি অসুবিধা না বলে আসলে চ্যালেঞ্জ বলতে চাই। ইন্টারনেট যেহেতু এখনও পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছায়নি, সেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল ব্যবহার করে তাদের কাছে পৌঁছানো অসম্ভব। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে চ্যালেঞ্জ কমতে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

ইনকিলাব: এখানে কি খ-কালীন কাজের সুযোগ আছে?
নাজমুল হোসেন: এখানে পূর্ণকালীন এবং খ-কালীন উভয়ভাবেই কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। খ-কালীন কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজের সন্ধান করা যেতে পারে অথবা বিভিন্ন স্থানীয় ডিজিটাল এজেন্সিতেও খ-কালীন কাজ করার সুযোগ আছে। আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য অবশ্যই ইংরেজীতে দক্ষ হতে হবে। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের আরো কিছু আয়ের উৎস আছে। যেমন- গুগল অ্যাডসেন্স, অনলাইন বিজ্ঞাপন, ই-কমার্স পণ্য সেল, লিংক সর্ট, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি

ইনকিলাব: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ের উপর জোর দেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
নাজমুল হোসেন: আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিশদ বিষয় যেখানে অনেক ধরনের চ্যানেল রয়েছে। আমি মনে করি যে কোন একটি চ্যানেল নিয়ে স্পেশালিস্ট হওয়াটা ক্যারিয়ারের জন্য ভালো। আপনি যত বেশি ফোকাস হবেন তত দ্রুত আপনার সফলতা আসবে। বিশেষ করে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্লগে ঢুকে অনেক তথ্য পেতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার ক্ষেত্রে আপনি চাইলে িি.িসড়ু.পড়স ভিজিট করতে পারেন, ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য িি.িলড়হষড়ড়সবৎ.পড়স অনুসরণ করতে পারেন এবং গুগল অ্যাডওয়ার্ডস নিয়ে পড়াশোনা করতে িি.িমড়ড়মষব.পড়স/ঢ়ধৎঃহবৎং-এ যেতে পারেন। এছাড়াও ইউটিউবে অনেক ভিডিও রয়েছে যেগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করা যেতে পারে। অনেকেই বলে থাকেন কোথা থেকে শুরু করব? এ প্রশ্নের জবাবে আমি বলতে চাই প্রতিদিনই ডিজিটাল মার্কেটিং কিছু কিছু বিষয় নিয়ে পড়তে থাকেন, দেখবেন একদিন আপনি দক্ষ হয়ে উঠবেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রতিদিন এক ঘণ্টা সময় রাখি এ বিষয়ে পড়াশোনা করার জন্য। এছাড়াও বর্তমানে দেশে কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। ইচ্ছে করলে সেখান থেকে কিছুটা ধারণা নিয়ে নিতে পারেন। প্রশিক্ষণ দেয়া ক্ষেত্রে কিছু অসাধুচক্র চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে নতুনদের প্রতারিত করছে, সেগুলো থেকে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে।

ইনকিলাব: এই পেশায় মাসে কত আয় করা যায়?
নাজমুল হোসেন: ডিজিটাল মার্কেটিংসহ এই ধরনের সকল কাজের আয় রোজগার নির্ভর করে নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের উপর। তবে ডিজিটাল এজেন্সিতে যারা এক্সিকিউটিভ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে, তাদের গড়ে বিশ হাজার থেকে পঁচিশ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। আর ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যারা কাজ শুরু করে, তারা সাধারণত মাসিক গড়ে দুইশ’ থেকে তিন’ ডলার আয় করে। তবে পেশা হিসেবে এ ক্যারিয়ার এ আসতে চাইলে অবশ্যই প্রায়োগিক দক্ষতা থাকা আবশ্যক। সেক্ষেত্রে নতুনদের জন্য বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিতে ইন্টার্নিশীপের জন্য যোগাযোগ করা উচিত। যেটি কিনা তাদের প্রায়োগিক দক্ষতা বাড়াবে বলে আমার বিশ্বাস।

ইনকিলাব: এই সেক্টরে নবীনদের জন্য আপনার পরামর্শ
নাজমুল হোসেন: আমার দৃষ্টিতে যারা এই সেক্টরে কাজ করতে চায় এবং এখানে তাদের ক্যারিয়ার গড়তে চায়, তাদের নিয়মিত কিছু কাজ করতে হবে। সেগুলো হলো- প্রতিনিয়ত ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করা, কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হওয়া। নির্দিষ্ট একটি বিষয় নিয়ে গবেষণা করা, ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত ব্লগ পড়ার অভ্যাস গড়া, এই বিষয়ে ব্লগে লেখালেখি করা, বিভিন্ন মার্কেটিং সামিটে যাওয়া শুধু আপনার জ্ঞান বিকশিত করবে না বরং ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের সাথে যোগাযোগ সৃষ্টি করে দিবে। যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং পুরোটাই ডাটাভিত্তিক একটি বিপণন ব্যবস্থা, এখানে ডাটা নিয়ে কাজ করতে হয় এবং আমি মনে করি ডাটা নিয়ে বিশ্লেষণ করার দক্ষতা অর্জন করার ব্যাপারে নবীনদের জোড় দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ডাটা বিশ্লেষণের জন্য যে সফটওয়ারগুলো রয়েছে, যেমন গুগল অ্যানালিটিক্স অথবা অন্য যে কোন অ্যানালিটিক্স প্লাটফর্ম নিয়ে ঘাটাঘাটি করা এবং প্রথম প্রথম ছোট ছোট ডাটা নিয়ে বিশ্লেষণ করা। সময়ের সাথে সাথে বড় বড় ডাটা নিয়ে বিশ্লেষণ করা। এই কাজগুলো নিয়মিত করলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Kamal ২১ আগস্ট, ২০১৬, ১:২০ এএম says : 0
Thank u very much to Nazmul Hasan Tapu
Total Reply(0)
মোজাম্মেল ২১ আগস্ট, ২০১৬, ১:২৫ এএম says : 0
বিষয়টি সম্পর্কে একটা ভালো ধারনা হলো।
Total Reply(0)
মোর্শেদ ২১ আগস্ট, ২০১৬, ৩:৪০ পিএম says : 0
আউটসোসিংয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক বিশেষজ্ঞদের ইনটারভিউ নেয়ায় সাংবাদিক নুরুল ইসলাম ও দৈনিক ইনকিলাবকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Total Reply(0)
Sumon ২৯ জুন, ২০১৮, ২:৩৯ এএম says : 0
bangladesh a paypal payment getway projon Daily hajar hajar $ paypal a limit hoya jaca big loss freelancer dar. topu vii paypal companey sata kota bola paypal anar babosta koran
Total Reply(0)
Md Riazul Islam ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:১৪ পিএম says : 0
খুব সুন্দর উপস্থাপনা আপনার.. ধন্যবাদ আমাদের সাথে সুন্দর একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করুন
Total Reply(0)
Md Ataul Hoque Farhan ১০ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৫৬ পিএম says : 0
Its amazing article, thanks for sharing. keep growing same way. digital marketing
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন