শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চাষাবাদ ব্যাহতের শঙ্কা

হাওরের পানি ধীরগতি

মো. হাসান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

সুনামগঞ্জে চার দফা বন্যায় বিভিন্ন হাওরে পলি মাটি জমে পানি নিষ্কাশনের বিভিন্ন পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে জেলার বিভিন্ন হাওরের পানি একেবারে ধীরগতিতে কমছে। এতে বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলতি বছর বীজতলা থেকে পানি ধীরগতিতে নিষ্কাশনের কারণের বীজতলা না শুকানো, বীজতলা তৈরি এবং আগামী বোরো চাষ নিয়ে হাওর পাড়ের কৃষক রয়েছেন শঙ্কায়।
স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে যে পরিমাণে পানি কমছে তাতে বীজতলা ভেসে উঠতে আর কিছুদিন সময় লাগবে। কিন্তু পানি দ্রুত নিষ্কাশন না হলে সময়মতো চারা রোপন করা যাবে না। যদি সময়মতো চারা রোপন করা না যায় এবং চারা গাছের বয়স বেশি হয় তাহলে তাতে ধান আসে না। চারা দেরীতে রোপন করা হলে ধান পাকতেও বিলম্ব হয়। সময় মতো রোপন না করতে পারলে কষ্টের ফসল ধান আধা-পাকার আগেই বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
এদিকে সুরমা ও বৌলা নদীর সাথে পাকনা হাওরে পানি নিষ্কাশনের পথ পলি মাটি পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া কানাই কালি নদী পলি মাটি পড়ে ভরাট, ঢাইল্লা সুইচ গেইটের রাস্তা ও কাইয়াবাদা বাঁধ ভরাট। কানাই খালি নদী পলি মাটি পড়ে ভরাট, গজারিয়া সুইচ গেটের খাল প্রায় ১ কিলোমিটার ভরাট হয়ে গেছে।
জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের শনির হাওর পাড়ের কৃষক মাসুক মিয়া বলেন, কোনো হাওরে এই সময়ে এতো পানি থাকার কথা নয়। চলতি বছর পানি ধীরগতিতে নিষ্কাশন হওয়ায় বোরো ধানের বীজতলা ভেসে উঠতে ও বীজতলা তৈরি করতে বিলম্ব হচ্ছে।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ফরিদুল হাসান বলেন, চলতি বছর জেলার ২ লাখ ১৯ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রীড ৩৬ হাজার ৫০০ হেক্টর, উপশী ১ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ধান ২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হবে। এর জন্য ৮ হাজার ৭১৭ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে।
সুনামগজ্ঞে চার বার বন্যায় হাওরে পলি জমে পানি নিষ্কাশনের পথে কিছু বাঁধার সৃষ্টি করেছে। এতে কৃষকদের একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে। এতে বোরো ধান আবাদ ব্যাহত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
সুনামগঞ্জ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, হাওরের পানি নিষ্কাশনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও উপজেলার সার্ভেয়ারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দিয়ে কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তারা সরেজমিনে হাওর ঘুরে নদী-খাল দেখবেন। এমনকি কোন দিকে খনন করা লাগবে তা চিহ্নিত করবেন। যে হাওরে সুইচ গেইট নেই, সেই হাওরের পানি নিষ্কাশনের জন্য ফসল রক্ষা বাঁধ ছোট করে কেটে দেয়া হচ্ছে। যে হাওরে সুইচ গেইট রয়েছে সেইগুলো পানি নিষ্কাশনের জন্যে খুলে দেয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন