মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের পোড়াগঙ্গা শাখা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর ছয়টি পিলার প্রায় ২৫ বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়। পিলার থাকলেও এখনো সেতু নির্মাণ হয়নি। নদীতে সেতুটি নির্মাণ হলে জেলার লৌহজং উপজেলার সাথে সিরাজদিখান উপজেলার সেতুবন্ধন তৈরি হবে। পাশাপাশি দুই উপজেলার ৮টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের ভোগান্তি কমবে ও ভাগ্যের চাকা খুলবে। ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় দুপাড়ের রাস্তাটি এখন অবহেলিত হয়ে আছে।
জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে উপজেলা এলজিডির অর্থায়নের কাজটির টেন্ডার পায় একটি ঠিকাদার কোম্পানি। ৬টি পিলার উঠানোর পর ব্রিজটি নিচু হওয়ার কারণে এলাকাবাসীর বাধা এবং নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সেতুর কাজ সম্পন্ন না করেই কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার কোম্পানি।
জৈনসার, চাইনপাড়া, ভাটিমভোগ গ্রামের স্থানীয়রা জানান, আমরা হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, হাসপাতাল, থানা, উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দফতরের কাজে যেতে হলে দুর্ভোগে পরি। সেতুটি হলে আমরা সহজে পরিবহনসহ নানা সুবিধা পেতাম। সেতুটির কারণে রাস্তাটি এখন অবহেলিত হয়ে আছে।
জৈনসার ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য আবু সাইদ মাদবর জানান, শুধু এই উপজেলার নয় আমাদের পাশের উপজেলা লৌহজংয়ের পিংগরআলী গ্রাম, মিঠুসার, বাগবাড়ি, বালিগাওসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন ঢাকাসহ বিভিন্ন দিকে যেতে অনেক সুবিধা পাবে। জৈনসার ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদু জানান, প্রায় ২৫ বছর আগে এলজিডির বরাদ্ধে একটি ঠিকাদার কোম্পানি কাজটি শুরু করে। কাজটিতে ঠিকাদারের লোকসান হবে ভেবে ৬টি পিলার উঠানোর পর কাজ বন্ধ করে তারা চলে যায়। এখানে সেতুটি হলে কয়েক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে এবং কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে সহজে যাতায়াত করতে পারবে।
সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, আমি সিরাজদিখান উপজেলায় যোগদান করেছি ২ বছর। আর পিলারের কাজটি হয়েছে প্রায় ২৫ বছর আগে। কত টাকার কাজ এবং ঠিকাদেরর নাম ঠিকানা আমার অফিসে খুঁজলে হয়তো পাওয়া যাবে। দু’একদিনের মধ্যে আমি পুরনো নথি খুঁজে আপনাদের জানাবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন