কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুলের কোটি কোটি টাকা লোপাটের প্রসঙ্গ তুলে ধরে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বলেছেন, ‘গত ২২ বছরে আফজল খান পরিবার স্কুলটির প্রায় ৪০ কোটি টাকা লুটপাট করে খেয়েছে। এই লুটপাটের প্রমাণাদি রয়েছে। যদি প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারি তাহলে এমপি (সংসদ সদস্য) পদ ছেড়ে দেবো। পদত্যাগ করবো। এই পরিবারে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে কলম ধরেন, যারা মানুষের জমি-জায়গা দখল করে নিয়েছে।’
গতকাল বেলা সাড়ে ১২টায় কুমিল্লা টাউনহল মিলনায়তনে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে কুমিল্লার উন্নয়ন ও সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলী নিয়ে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আরফানুল হক রিফাত উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় এমপি হাজী বাহার তার রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। ২০০৮ থেকে পরপর তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়ে কুমিল্লার যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে তার ভ‚মিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
মতবিনিময় সভায় সাম্প্রতিক সময়ে জিল্লুর হত্যাকান্ড প্রসঙ্গ তুলে ধরে এমপি বাহার বলেন- ‘এই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে আবারো আমাকে নিয়ে রাজনৈতিক চক্রান্ত শুরু হয়েছে। কুমিল্লার উন্নয়ন অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে খুনি ও দুর্নীতিবাজ পরিবার। আমি যতদূর জানতে পেরেছি ওই হত্যাকান্ড চৌয়ারা বাজারের গন্ডগোল ও ভাগাভাগি নিয়ে ঘটেছে। আর এটাকে নিয়ে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে।
আমি আইন প্রয়োগকারি সংস্থাকে বলেছি, এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু সঠিক নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের নাম ও সংশ্লিষ্টতা যদি তদন্তে পাওয়া যায় তবেই তাদের গ্রেফতার করবেন। তদন্তের আগে কাউকে গ্রেফতারের নামে হয়রানি করা যাবে না। যারা এই হত্যাকন্ডে নিয়ে অপরাজনীতি করছে তারাও দেখুক সত্যটা কী। তিনি কুমিল্লার সকল সাংবাদিকদের সত্যনির্ভর বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশের আহবান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন