বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মাদারীপুরে আহতরা এখনো শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন অসংখ্য স্প্রিন্টার

প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

২১ আগস্ট ট্রাজেডির এক যুগ
আবুল হাসান সোহেল, মাদারীপুর থেকে : ভাগ্য পরিবর্তন তো দূরে থাক। স্বীকৃতি ও বিচার পায়নি এক যুগেও ২১ আগস্টের হামলায় মাদারীপুরে আহত ও নিহতদের পরিবারেরা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলায় আহত মাদারীপুরের অন্তত ৫ জন এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রেনেডের স্প্রিন্টার। দীর্ঘদিন স্প্রিন্টারগুলো শরীরের বিভিন্ন স্থানে থাকায় চিকিৎসার অভাবে শরীরের এক একটি অংশ হয়ে পড়ছে অকেজো। সুচিকিৎসার অভাবে ধীরে ধীরে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন তারা। প্রাণ কৃষ্ণ নামের একজন চোখ হারিয়েও পায়নি সামান্য স্বীকৃতিটুকুও। আর বিচারের দীর্ঘ সূত্রিতায় এ জেলায় ওই দিন নিহত ৪ জনের বাড়িতে এখনো চলছে শোকের মাতম। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২১ আগস্টে হামলায় আহত ও নিহত পরিবারের সাহায্য, সহযোগিতা, চিকিৎসাসহ পুনর্বাসনের তেমন কোন ইতিবাচক ফল না পাওয়ায় পরিবারগুলোর মধ্যে বাড়ছে হতাশা ও চরম ক্ষোভ।
নিহত ও আহতদের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার ১২ বছরেও দোষীদের বিচার না হওয়ায় শুধু আর্তনাদই নয় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো আজ চরম ক্ষুদ্ধ। এ দৃশ্য শুধু মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের চানপট্টি গ্রামে যুবলীগ নেতা নিহত লিটন মুন্সীর বাড়িরই নয় মাদারীপুরের ৪ নিহতের পরিবারেই। নিহতদের পরিবারের মূল দাবি দ্রুত বিচারের। আর যারা বেঁচে আছেন তারা কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবনযাপন।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ২১ আগস্টের বর্বরোচিত ঘটনা দেশের ইতিহাসে এক কলংকিত ঘটনা । সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মাদারীপুরের ৪ নিহত ৫ জন আহত ও আরো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মাদারীপুরের হতাহত পরিবারের প্রতি জেলা প্রশাসনের সমবেদনা ও সহযোগিতার মনোভাব রয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষ সরকারের কোন নির্দেশনা আসলে অবশ্যই জেলা প্রশাসন সেভাবে কাজ করবে।
রাজশাহী সাতক্ষীরায় ৭১ জন গ্রেফতার
ইনকিলাব ডেস্ক : রাজশাহী ও সাতক্ষীরায় পুলিশের অভিযানে ৭১ জন গ্রেফতার হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত-শিবিরের দুইজন কর্মীসহ ৩২ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা ১৩ জন, কলারোয়া থানা ৫ জন, তালা থানা ২ জন, কালিগঞ্জ থানা ৩ জন, শ্যামনগর থানা ৩ জন, আশাশুনি থানা ৩ জন, দেবহাটা থানা ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা এলাকা থেকে ১ জনকে আটক করা হয়। রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী মহানগর পুলিশ নগরীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীসহ ৩৯ জনকে আটক করেছে। গত শুক্রবার গভীর রাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। নগরীর চার থানা পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
নগর পুলিশের মুখপাত্র রাজপাড়া থানা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়ের আলম বলেন, অভিযানে বোয়ালিয়া থানা ১৯ জন, রাজপাড়া থানা ১২ জন, মতিহার থানা ৫ জন, শাহমখদুম থানা ৩ জনকে আটক করে।
খাগড়াছড়ি ইফার উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে
২ বছরের সংবাদপত্রের বিল আত্মসাতের অভিযোগ
খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা : খাগড়াছড়ি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক এক উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে দুই বছরের সংবাদপত্রের বিল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে মসজিদভিত্তিক পাঠাগার প্রকল্পের ২০১১ ও ২০১২ সালের সাড়ে ১৮ হাজার টাকার বিল পায়নি সংবাদপত্রের এজেন্ট। আর চলমান প্রকল্প থেকে পুরনো বিল পরিশোধ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বর্তমান কর্মকর্তা।
খাগড়াছড়ির সংবাদপত্রের একমাত্র এজেন্ট প্রতিভা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী রতন কুমার দে জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মসজিদভিত্তিক পাঠাগার স্থাপন প্রকল্পের আওতায় জেলার সদর উপজেলার কোর্ট বিল্ডিং পাঠাগার এবং মসজিদ পাঠাগারে বিগত ২০১১ ও ২০১২ সালে টানা দুই বছর দু’টি জাতীয় দৈনিক এবং একটি আঞ্চলিক সংবাদপত্র সরবরাহ করেন তিনি। যার বিলের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। তবে এই বিলের জন্য তৎকালীন হিসাবরক্ষক ফিরোজ আলম ও আবছার আহমেদের সাথে বেশ কয়েকবার দেখা করার পরও তিনি পত্রিকার বিল আদায় করতে পারেননি। এছাড়া পূর্ববর্তী উপ-পরিচালকের কাছে বিষয়টি জানানোর পরও কোনো সুরাহা করা হয়নি।
তিনি আরো জানান, কিছুদিন প্রকল্পটি বন্ধ থাকলেও আবার তা চালু করা হয়েছে। চাইলে চলমান প্রকল্প থেকে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে পারেন বর্তমান কর্মকর্তা। অথচ তিনিও দায়সারা জবাব দিচ্ছেন, কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বর্তমান উপ-পরিচালক মো: ইউসুফ আলী বলেন, ‘প্রকল্পে তৎকালীন বরাদ্দ থেকে কেন বিল পরিশোধ করা হয়নি তা আমার বোধগম্য নয়। আর চলমান প্রকল্প থেকে বকেয়া বিল পরিশোধ করার কোনো সুযোগ নেই।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন