শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার অফিস : অফ সিজনেও এখন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকে ভরপুর। মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টি বাদল উপেক্ষা করে শত শত পর্যটক সৈকতে ভিড় করছে। গত দু’দিন আগেও সমুদ্রে ৩নং সতর্ক সংকেতছিল। সাগরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের তোড়ে বিস্তীর্ণ সৈকতের বিভিন্নস্থানে সৃষ্টি হয়েছে খাদ ও ফাঁদ। এসব খাদ ও ফাঁদে আটকা পড়ে অনেক সময় অনভিজ্ঞ পর্যটকরা দুর্ঘটনার সম্মূখীন হয়ে থাকেন। এভাবে গত কয়েক বছরে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক পর্যটক। গতকালও দেখাগেছে, সৈকতের সীইন পয়েন্ট থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত বেশ কয়েকটি লম্বা খাদ সৃষ্টি হয়েছে। আর সেখানে শত শত নারী-পুরুষ গোসল করছে এবং ভ্রমণ করছে।
গতকাল সৈকতের সীইন পয়েন্টে কয়েকজন পর্যটকের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সিজনের সময় কক্সবাজার সৈকতে থাকে প্রচ- ভিড়। তাই ভিড় এড়াতে তাঁরা অফসিজনে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। বৃষ্টি বাদলের দিন হলেও অফসিজনে তারা কক্সবাজার এসে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার এক দম্পতি জানান, রাজধানীর ঘিঞ্জি পরিবেশ ছেড়ে কিছুটা মুক্ত আবহাওয়ার জন্য তারা কক্সবাজার এসেছেন। তাদের মতে সিজনে লাখ লাখ মানুষের ভিড়ে কক্সবাজারের পরিবেশও দুষিত হয়ে যায়। তাই অফসিজনে কক্সবাজার ভ্রমণ এখন আরাম দায়ক। এসময় হোটেল-মোটেলেও ভিড় থাকে কম এবং পাওয়া ভাল সিকাউন্ট। এমনিতেই কক্সবাজারে নিরাপত্তাজনিত কারণে এখানে পর্যটকদের কোন সমস্যা হয়না। এর উপর কড়াকড়ি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে কক্সবাজার ভ্রমণকারীরা আরো বেশী নিরাপত্তা বোধ করছেন বলে জানান কয়েকজন পর্যটক। কক্সবাজারের তারকা মানের একজন হোটেল কর্মকর্তা জানান, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত থাকলে সারা বছরই কক্সবাজারে পর্যটক আসতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার উন্নয়নে যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তাতে করে কক্সবাজার বিশে^র অন্যতম আধুনিক পর্যটন শহরে পরিণত হবে। তখন বিদেশ থেকেও পর্যটক স্রোত কক্সবাজার মূখী হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন