শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

যশোরের লক্ষাধিক মানুষের মানবেতর জীবন ভবদহের পানি নিষ্কাশনে টিআরএম চালুর দাবি

প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রেবা রহমান, যশোর থেকে : ভবদহে পানিবদ্ধতার কারণে যশোরের লক্ষাধিক মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। গৃহপালিত পশু, সাপ আর মানুষ একসাথে বসবাস করছে। তাই ভবদহ স্লুইস গেট থেকে কাশিমপুর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার নদী খনন করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) চালু করার দাবি জানিয়েছে ভবদহ পানি নিষ্কাশন কমিটি। গতকাল শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৮০’র দশকের শুরু থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর ও যশোর সদরের বৃহৎ অংশ জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে। ফলে ১৯৯৮ সালে বিল ভায়নায়, ২০০০ সালে বিল কেদারিয়ায়, ২০০৬ সালে বিল খুকশিয়ায় টিআরএমের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে নেয়া হয়। এ সময় ওই বিলগুলোতে ফসল উৎপাদন হতো। ২০১২ সালে বিল খুকশিয়ায় টিআরএম বন্ধ করে দেয়ার ফলে হরি নদীতে ভবদহ অংশ থেকে কাশিমপুর পর্যন্ত পলি জমে ভরাট হয়ে যায়। ফলে নতুন করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শত শত মাছের ঘের ডুবে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, শ্মশান, ধানের ক্ষেত, সবজি ক্ষেত সব পানির নিচে। বর্তমানে পানি পচে বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের প্রভাব দেখা দিয়েছে। পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, একশ্রেণীর লোক নিজেদের স্বার্থের কারণে টিআরএম প্রকল্পে বাধা দিয়েছিল। যারা জেলা প্রশাসন থেকে সরকারি খাস জমি লিজ নিয়ে মাছের ঘের করেছে তারা মূলত এর জন্য দায়ী। আর তারাই একবার টিআরএমে বাধা দিয়েছিল। বর্তমানে সেখানে টিআরএম ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। নদী শাসন না করে তাকে তার মতো চলতে দিলে ভবদহের জলাবদ্ধতা কমবে বলে জানান বক্তারা। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক বিষ্ণু পদ দত্ত। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আন্দোলন কমিটির নেতা অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর, অভয়নগর পৌরসভার মেয়র সুশান্ত দাস, প্যানেল মেয়র রবিউল অধিকারী ব্যাচা, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ইমাদ উদ্দিন, প্রেমবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, সুন্দলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, চলশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাদির মোল্লা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন