নগরীতে নিকটাত্মীয়ের বাসার খাটের নিচ থেকে নিখোঁজ এক যুবকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায় তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর লাশ লুকিয়ে রাখা হয়। শুক্রবার রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন টেরিবাজার আফিমের গলির একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এরপর ওই বাসা থেকে ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মাধব দেবনাথ নামে
ওই যুবক স্বর্ণের গহনা তৈরির কারখানার কর্মচারী।
নির্মম খুনের শিকার মাধব দেবনাথের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। তিনি টেরিবাজারের পাশের এলাকা স্বর্ণের বাজারখ্যাত হাজারী লেইনে একটি গহনা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
একই কারখানায় কাজ করতেন মাধবের মামাতো ভাই পিন্টু দেবনাথ, যার বাসায় লাশটি পাওয়া গেছে। ওসি মহসীন জানান, একই বাসায় পিন্টু ও তার স্ত্রী, তার ছোট দুই ভাই এবং মা-বাবা থাকেন। আর মাধব থাকতেন লালদিঘীর পাড়ে একটি ব্যাচেলর বাসায়। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পিন্টু ফোন করে থানায় জানান, তার আত্মীয় মাধবকে তিনদিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তাকে তাদের বাসায় খাটের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
এ তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি পিন্টু, তার বাবা-মা, দুই ভাই, স্ত্রীসহ ছয় জনকে আটক করে নিয়ে যায়।
মাধবের হাত-পা বাঁধা ছিল। গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন । লাশ কিছুটা পচে গেছে।
ওসি জানান জিজ্ঞাসাবাদে ও প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পেয়েছি- পিন্টু মাধব ও তার স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। তাদের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে। এর জের ধরে হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে ধারণা। তদন্তে প্রকৃত তথ্য জানা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন