শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুবির বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতি অনাস্থা দিয়ে পাল্টা কমিটি গঠন

কুবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:৩৯ পিএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ লালনকারী শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের সকল কার্যক্রমের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে ৫ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার বেলা বারোটায় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান এবং একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: মোকাদ্দেস উল ইসলামকে সদস্য সচিব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রগতিশীল চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকবৃন্দের ব্যানারে সংবাদে সম্মেলনের মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ ধরনের কোন কমিটি গঠনের সুযোগ নেই এমন দাবি করে এ কমিটির সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন পুরানো কমিটির সাধারণ সম্পাদক

নতুন ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, অর্থ সচিব পদে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, সদস্য পদে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রগতিশীল চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকবৃন্দের ব্যানারে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমানে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন অস্তিত্ব নেই এবং পরিষদের কোন কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় অনিবার্য এবং সঙ্গত কারণে বিলুপ্ত কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে সাধারণ সদস্যদের বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় গত ৪ ডিসেম্বর পরিষদের সাধারণ সদস্যদের এক বিশেষ সাধারণ সভায় উদ্বূত পরিস্থিতিতে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের সকল কার্যক্রমের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের বিষয়ে মতামত প্রদান করে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, পরিষদের গঠনতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কার্যনির্বাহী পরিষদের ব্যানারকে ব্যবহার করে তৎকালীন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হীনস্বার্থে বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্যাড ব্যবহার করে নিজেদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে দ্বিধা বিভক্তির রাজনীতি ও ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করছেন।
এবিষয়ে পুরাতন কমিটির সাধারণ সম্পাদক লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিয়া উদ্দিন বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক থাকলে এ ধরনের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সুযোগ নেই। আর করতে হলেও তা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক করবে। এখানে যে কমিটি হয়েছে তাকে আমরা স্বীকৃতি দিচ্ছি না, আর কেউ গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করলে কোন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আগেও এমন কমিটি করা হয়েছে এ দাবি করে তিনি আরও বলেন এদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আগে যেটা গঠন করা হয়েছিল এটাও তাদের কমিটি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারী ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী ওমর সিদ্দিকীকে সভাপতি এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: জিয়া উদ্দিনকে সাধরণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন