সময়ের বিবর্তনে পাল্টে যাচ্ছে সবজি ব্যবসার ধরনও। ব্যাপারটি চোখে পড়ার মতন। শহরের সড়কের ফুটপাথে বা সড়কের ওপর দেশি বিদেশী ফলের ব্যবসা নতুন নয়। সময়ের পরিক্রমায় ফুটপাথের দোকানের ধরনও পাল্টেছে। রাস্তায় কাপড়/পলিথিন কাপড় বিছিয়ে বা ছোট আকারের চৌকি পেতে ফলের পশরা সাজিয়ে বিক্রি বা ভ্রাম্যমাণ ট্রলিতে ফল বিক্রিও এখন স্বাভাবিক।
তবে ফলের ট্রলিতে সবজি বিক্রির এখন বগুড়া শহরের এক চিরচেনা দৃশ্যে পরিণত হয়েছে এখন। বিশেষ করে করোনাকাল শুরুর পর বাজার হাটের ভিড় এড়াতে রাস্তায় রাস্তায় এমনকি পাড়া মহল্লার অলিগলিতে সবজির পসরা সাজিয়ে তা’ বেচা বিক্রি অনেকের কাছে কিছুটা ব্যাতিক্রমই লাগছে।
এদিকে স্থান ভেদে সবজির দরদামের ভিন্নতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। দরদামের ভিন্নতা ও এর ভেতরের কারণ জানতে বগুড়া শহরের সার্কিট হাউসের সড়কের সামনের এক সবজি বিক্রেতা জাহাঙ্গির আলম জানালো, গত এক সপ্তাহ জুড়ে মহাস্থান পাইকারি বাজার থেকে ২৮০ টাকা দরে ফুলকপি কিনে এনে বগুড়া শহরে প্রতিকেজি বিক্রি করছে ১৫ টাকা দরে । অথচ সে মহাস্থান পাইকারি বাজারে এটা কিনেছে ৭ টাকা কেজি দরে। তাহলে ১২ কিলোমিটার দূরত্বে তা দুইগুণ হল কিভাবে? জানতে চাইলে ব্যাখা দিতে গিয়ে জাহাঙ্গির জানালো, ওখানে প্রতিমণ ফুলকপিতে টোল দিতে হয়েছে ২০ টাকা করে। এছাড়া আছে গাড়ি ভাড়া আরও আছে ফুটপাতের চাঁদা। কত টাকা চাঁদা দিতে হয়? সেটাতো বলা যাবেনা, বললে বন্ধ হয়ে যাবে ফুটপাতের ব্যবসা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন