এলজিইডি চট্টগ্রাম ও এলজিইডির অর্থায়নে সীতাকুন্ড পৌরসভা কর্তৃক ৫ কোটি ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ে বহু আকাঙ্খিত সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশেষ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত এ সড়কের অবস্থা বেহাল থাকায় শিব চতুর্দশী মেলায় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে দর্শনার্থীদের। এরমধ্যে এলজিইডি চট্টগ্রামের বাস্তবায়নে সড়কের ৫৪০ মিটার এবং ৯৫ মিটার আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
অপরদিকে একইভাবে সীতাকুন্ড পৌরসভা কর্তৃক মিশন, ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৪ টাকা। বর্তমানে এ সড়কটি নির্মাণে দর্শনার্থীদের চলাচলে অনেকটা স্বস্তি ফিরে আসার কথা জানিয়েছেন এখানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।
সীতাকুন্ড উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এলজিইডি চট্টগ্রামের বাস্তবায়নে ১৭-১৮ অর্থবছরে চন্দ্রনাথ মন্দির সড়কের কাজ শুরু করা হয়। ৫৪০ মি. দৈর্ঘ ও প্রসস্ত ১০ ফুট এবং ১৫ মিটার আরসিসি ব্রিজ ও ৯৬ মিটার সিঁড়ির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের চলাচলে সুবিধার্থে সড়কের উভয় পাশে দর্শনার্থীরা বসার মত গাইড ওয়াল করে দেয়া হয়েছে। যাতে করে তারা এ দীর্ঘ পাহাড়ি পথ চলতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লে তারা যেন এ গাইড ওয়ালে বসে যেন একটু বিশ্রাম নিতে পাড়ে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। এর ব্যয় ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ধরা হলেও ৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় কাজটি সমাপ্ত হয় এবং পাহাড়ের উপরের দিকে আরো এক কিলোমিটার সিঁড়ি কাম সড়কে ডিজাইন চলমান রয়েছে। ডিজাইনটি চ‚ড়ান্ত হলে ২০/২১ অর্থবছরে কাজ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
অপরদিকে, সীতাকুন্ড পৌরসভা মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বলেন, সীতাকুন্ড পৌরসভার পক্ষ থেকে সংকরমঠ মিশনের ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৪ টাকা। সড়কের গুরুতপূর্ণ অংশ বিশেষ ও ব্রিজ নির্মাণে একদিকে যেমন সড়কের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে দর্শনার্থীদেরও চলাচল অনেক সহজ হয়েছে। পর্যটকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মন্দির সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। বিশেষ করে ফাল্গুন মাসে মেলাকে কেন্দ্রকরে লাখ লাখ মানুষ এখানে ছুটে আসেন। শুধু তাই নয়, মেলা ছাড়াও সারাবছর কম বেশি পর্যটকদের এখানে আনাগোনা দেখা যায়।সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, সড়কটির ব্রিজ নির্মাণ হওয়ায় ও সড়কের অংশ বিশেষ এর কাজ সম্পন্ন হওয়ায় দেশ-বিদেশ থেকে আসা দর্শনার্থীদের চলাচলে অনেকটা সুবিধা হয়েছে। অন্যদিকে ঝুঁকিও কমেছে। আর সৌন্দর্য ও বেড়েছে অনেক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন