রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্বপ্ন ছিল সমাজে নারী-পুরুষ সমান মর্যাদা আর অধিকার নিয়ে বাঁচবে। নারীশিক্ষার প্রসারে কাজ করে গেছেন আমৃত্যু। নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, তাদের ক্ষমতায়ন, ভোটাধিকারের জন্য লড়াইটা এই বাংলায় রোকেয়াই শুরু করেছিলেন। সেই স্বপ্নের কথাই তিনি লিখে গেছেন তার গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধগুলোতে। বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে এ বছর পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে পদকের জন্য মনোনীত করেছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পদক প্রাপ্তদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করে পরিপত্র নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রোকেয়া দিবস উদ্যাপন ও বেগম রোকেয়া পদক-২০২০ প্রদান করা হবে। এ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আলাদা বাণী দিয়েছে।
আজ বুধবার ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়ার জন্মদিন। ১৯৩২ সালের এই দিনেই মারা যান তিনি। দিনটি রোকেয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে এক জমিদার পরিবারে রোকেয়ার জন্ম হয়। বেগম রোকেয়া খাতুন, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, মিসেস আর এস হোসেন নামেও লিখতেন এবং পরিচিত ছিলেন তিনি। ঊনবিংশ শতকে নারীরা যখন অবরোধবাসিনী, সেই সময়ে নারীর পরাধীনতার বিরুদ্ধে তিনি আওয়াজ তুলেছেন। দিবসটি উপলক্ষে নানা আনুষ্ঠানিকতায় স্মরণ করা হবে তাঁকে।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বেগম রোকেয়া পদক-২০২০ প্রদান ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপনের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে অনলাইনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন। পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নারী ব্যক্তিত্ব বা তার পরিবারের প্রতিনিধি আজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার কাছ থেকে সম্মাননা পদক, সনদ ও চেক গ্রহণ করবেন।
এবছর যারা রোকেয়া পদক পাচ্ছেন, তারা হলেন, বেগম রোকেয়া পদক-২০২০ এর জন্য মনোনীত পাঁচজন বিশিষ্ট নারী হলেন নারী শিক্ষায় প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। পেশাগত উন্নয়নের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কর্নেল (ডা.) নাজমা বেগম। নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মঞ্জুলিকা চাকমা। সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগম মুশতারী শফি এবং নারী অধিকারে অবদানের ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার। এদিকে রংপুররে জেলা প্রশাসকের আযোজনে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন