শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

আজ নওগাঁর রাণীনগর হানাদার মুক্ত দিবস

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:১৯ পিএম

বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয়ের দিন ১৬ডিসেম্বরের বাকী আর ৬দিন। ১৯৭১ সালের ১০ডিসেম্বর রাণীনগর বাসীর জন্য একটি স্মরণীয় দিন। আজকের এই দিনে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়।

স্বাধীনতার সংগ্রামে সাড়া দিয়ে সারা দেশের ন্যায় এই উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা মাতৃভূমিকে শত্রু মুক্ত করার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ৯মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর নওগাঁর রাণীনগর উপজেলাবাসী আজকের এ দিনে শত্রæমুক্ত হয়ে বিজয় উল্লাস আর “জয় বাংলা, বাংলার জয়” জয়ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তুলেছিল রাণীনগর উপজেলার আকাশ-বাতাস। ১৯৭১ সালের ৯ই ডিসেম্বর রাণীনগর পাক-হানাদার মুক্ত করার লক্ষ্যে কমান্ডার হারুন-অল-রশিদ, রঞ্জু আহমেদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা থানা সদরে থাকা হানাদার ক্যাম্প চারিদিক থেকে ঘেরাও করেন। পরদিন ১০ই ডিসেম্বর সম্মুখ যুদ্ধে গোলাগুলির এক পর্যায়ে ১৭জন রাজাকার অস্ত্রসহ আত্মসমর্পন করে। এই সময় পাক-হানাদার বাহিনী রেললাইন দিয়ে সান্তাহার অভিমুখে পালিয়ে যায়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুর রহমান শ্যাম বলেন ৯ডিসেম্বর আমিসহ আমার কয়েকজন সহযোদ্ধাসহ পাক বাহিনীর চৌকি রাণীনগর থানা প্রাঙ্গন, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও আহমেদের বাসায় পূর্ব দিক থেকে আস্তে আস্তে ঘিরে নিয়ে সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে অগ্রসর হতে থাকি। এই সম্মুখ যুদ্ধে লুৎফর রহমান নামের এক মুক্তিযোদ্ধা পাক-বাহিনীর গুলিতে নিহত হোন। পরদিন ১০ডিসেম্বর পাক-বাহিনীরা আমাদের গেরিলা যুদ্ধের কাছে হার মেনে রেললাইন ধরে সান্তাহারের দিকে পালিয়ে যায়। আর এভাবেই লুৎফর রহমানের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ১০ডিসেম্বর পাক-হানাদার মুক্ত হয় রাণীনগর উপজেলা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা চয়েন উদ্দিন সরকার বলেন আমিসহ আমার কয়েকজন সহযোদ্ধা ৯ডিসেম্বর রাণীনগরকে মুক্ত করার লক্ষ্যে পশ্চিম দিক থেকে পাক-বাহিনীকে আক্রমণ করতে করতে অগ্রসর হই। প্রায় ৩৬ঘন্টা পাক-বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সম্মুখ যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আস্তে আস্তে আরো কয়েকটি মুক্তিযোদ্ধাদের দল পাক-বাহিনীদের চৌকিকে চারদিক থেকে ঘেরাও করে সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১০ডিসেম্বর বিকেল পর্যন্ত টানা প্রায় ৩৬ঘন্টা সম্মুখ যুদ্ধ হওয়ার পর পাক-বাহিনীরা তাদের সবকিছু নিয়ে সান্তাহারের দিকে পালিয়ে যায়। আর এভাবেই আমরা রাণীনগরকে হানাদার মুক্ত করি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন