সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

শিশুর জ্বর আপনার করণীয়

| প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ এএম

আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৭০ সেন্টিগ্রেড (সেলসিয়াস)। তাপমাত্রা যখন এর চেয়ে বেশি হয়, তখন আমরা তাকে জ্বর বলি। জ্বর নিজে কোনো রোগ নয়, অন্য কোনো রোগের উপসর্গ মাত্র। উল্লেখ্য, ভাইরাস কিংবা ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমণ হলে সাধারণত জ্বর হয়। জ্বর হলো একটা প্রতিরক্ষাব্যবস্থা যা শিশুকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। তবে জ্বর যে কারণেই হোক জ্বরের চিকিৎসা করা প্রয়োজন। জ্বরের চিকিৎসার সাথে সাথে আসল রোগ নির্ণয় করে তার সঠিক চিকিৎসা করতে হবে। পাশাপাশি শিশুর সঠিক যত্ন নিতে হবে।

জ্বরের সাথে সাথে রোগের অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন-
*এ সময়ে শিশু একটা বেশি কান্না করতে পারে।
*সর্দি,কাশি,পেট ব্যথা ,পাতলা পায়খানা হতে পারে।
*খাওয়ার প্রতি রুচি কমে যেতে পারে।
*জোর করে খাওয়াতে গেলে বমি করতে পারে।
*দেহের তাপমাত্রা বেশি বেড়ে গেলে শিশু জ্বরের ঘোরে অচেতন হয়ে পড়তে পারে,আজেবাজে বকতে পারে।
*ঘুম নষ্ট হতে পারে, অনর্থক ঘুম থেকে জেগে চিৎকার করতে পারে।
*অনেক সময় শিশুর খিঁচুনিও হতে পারে।
*শরীরে লাল দানাদার র‌্যাশ বা দাগ হতে পারে।

জ্বরের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। কোনো কোনো জ্বর সারা দিন রাত একই রকম থাকে কখনো তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার নিচে নামে না। কোনো কোনো জ্বর দিনে এক বা একাধিকবার আসে মাঝখানে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে। অনেক জ্বর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং কয়েক দিনের ভেতর তা বেড়ে প্রায় ১০৩০-১০৪০ ফারেনহাইটের মতো হয়। কোনো কোনো জ্বর শুরু থেকেই অনেক বেশি হয়ে আসে। অনেক সময় আবার জ্বর যেদিন হলো কয়েক ঘন্টা পর কমে যায় এবং কয়েক দিন পর আবার একই নিয়মে বাড়তে ও কমতে থাকে। কিছু জ্বর ওঠার সময় শীত শীত অনুভূত হয় এমনকি কাঁপুনিও হতে পারে। আবার জ্বর ছেড়ে যাওয়ার সময় বেশ ঘাম দিয়ে ছেড়ে যায়। অনেক সময় ঘুসঘুসে অর্থাৎ কম মাত্রার জ্বর অনেক দিন ধরে চলতে থাকে। কোনো প্রদাহজনিত জ্বর হলে শিশু কয়েক দিনের ভেতর বেশ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যে কারণেই জ্বর হোক না কেন তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেয়া ঠিক নয়। কারণ এতে শিশু অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শিশুর মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই যেকোনো ধরনের জ্বরই হোক না কেন, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াবেন। নিজে নিজে ওষুধ খাওয়াতে গিয়ে আপনার শিশুর ক্ষতির কারণ হবেন না।

ডা: মাও: লোকমান হেকিম
চিকিৎসক-কলামিস্ট, মোবা : ০১৭১৬২৭০১২০

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন