বই মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি করে। সমাজ আলোকিত করে। সুনাগরিক গঠনেও বইয়ের অন্যতম ভূমিকা রয়েছে। সুতরাং বই সকলের জন্য সহজলভ্য হওয়া প্রয়োজন এবং সকলের নিকট বই পৌঁছে দেওয়া কর্তব্য। নাগরিকের নিকট বই প্রাপ্তিতে বাধা মানে ভবিষ্যৎ বুদ্ধিদীপ্ত সুনাগরিক গঠনে বাধা সৃষ্টি করা। সকল ধরনের বই যেমন, গবেষণামূলক বই, একাডেমিক বই, গল্পের বই, উপন্যাস, নাটক, জীবনীসহ সকল বইয়ের প্রকৃত মূল্য থেকে দৃশ্যমান মূল্য অনেক বেশি লেখা হচ্ছে আজকাল। দৃশ্যমান মূল্য বেশি হওয়ার কারণে অনেকে বই ক্রয়ে নিরুৎসাহিত হয়। শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ স্বল্প শিক্ষিত বা বর্ণজ্ঞানহীন। তাঁরা কম বোঝেন। কিন্তু তাঁদের কম বোঝার ফলে ফায়দা হয় দোকানদারদের। যেমন, একটি বইয়ের মূল্য বইতে দেওয়া আছে চারশত বিশ টাকা কিন্তু দুইশত ত্রিশ টাকা হলো বিক্রয় মূল্য। তাহলে বইটির মূল্য চারশত বিশ টাকা দেওয়ার কোনো মানে হয় না! যদি বইটি দু’শ ত্রিশ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব হয় সেখানে চারশত বিশ টাকা লেখা মানে দোকানদারদের সুযোগ করে দেওয়া ছাড়া কিছুই নয়! সব কিছুর একটি বিধিমালা বা আইনি প্রক্রিয়া থাকা প্রয়োজন। যেমন, কপিরাইট আইন জোরদার করা, বইয়ের সঠিক মূল্য লেখা ও অসামাজিক বই নিষিদ্ধ করা। এইগুলো বাস্তবায়ন করলে লেখা মানসম্মত বই বের হবে এবং পাঠকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে! তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং লেখক, প্রকাশকদের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই বিষয়গুলো লক্ষ রেখে বই প্রকাশ করার জন্য।
মো. সোহেল রানা
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন