শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সীতাকুন্ডে চার বছর পর যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ এএম

সীতাকুন্ডের কুমিরা গহীন পাহাড়ি এলাকা থেকে এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে সিআইডি। ২০১৬ সালে দায়েরকৃত একটি মামলার সূত্রে গত শনিবার বিকালে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। সিআইডির ধারণা কঙ্কালটি ওই সময় নিখোঁজ হওয়া যুবক সালাউদ্দিনের এর। তবে ডিএনএ টেস্টের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত কঙ্কালটি আসলেই সালাউদ্দিনের কিনা তা নিশ্চিত নন তারা।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের কুমিরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দীঘিরপাড়া এলাকার যুবক নুর ইসলামের পুত্র মো. সালাউদ্দিন ২০১৬ সালের ১২ জুন নিখোঁজ হয়ে ছিলেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী হাসিনা বাদী হয়ে সীতাকুন্ড মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হেড কোয়ার্টার এটি সিআইডিতে স্থানান্তর করলে ১৩ আগস্ট ২০১৮ সালে সিআইডি এ মামলার তদন্ত শুরু করেন। অন্যদিকে, গত শনিবার সকালে গোপন সূত্রে আসামি আলমগীরের অবস্থান জানতে পেরে তাকে গ্রেফতার করেন সিআইডি। শেষে তদন্তের অংশ হিসেবে মাথার খুলি কুড়িয়ে পাওয়া মুছাও আলমগীরকে নিয়ে সিআইডির ইন্সপেক্টর শরীফ যেখানে খুলি পয়েছিলো সেখানেই অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়লে মাটির নিচ থেকে একটি কঙ্কাল পাওয়া যায়। মামলার তদন্তকারী অফিসার সিআইডি চট্টগ্রামের ইন্সপেক্টর মো. শরীফ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, তদন্তে তারা জানতে পারেন আসামি আলমগীর ও সালাউদ্দিনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিলো। এসময় তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে সালাউদ্দিন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। আলমগীর জেল থেকে বের হয়ে পরকীয়ার কথা জানতে পারলে সালাউদ্দিনের সাথে তার দ্ব›দ্ব সৃষ্টি হয়। তার কয়েকদিন পরেই সালাউদ্দিন নিখোঁজ হয়ে যান। পরে তার স্ত্রী হাসিনা বাদী হয়ে প্রথমে জিডি ও পরে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আলমগীরকে আসামি করা হয়। তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারেন ঘটনার নিখোঁজের আগের দিন সালাউদ্দিনের সাথে আলমগীর দফায় দফায় দীর্ঘ সময় কথা বলেন। ফলে তাকে সন্দেহ করা হয়। তিনি আরো বলেন, আলমগীর একজন একজন কুখ্যাত অপরাধী। খুন-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ঘটনায় সে আগেও একাধিকবার জেল খেটেছে। চেষ্টা করছি প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করতে। তিনি আরো বলেন, শনিবার প্রথমে খুলিটির সূত্র ধরেই ওই স্থানে গিয়ে প্রবাসী মুছা ও আলমগীরকে নিয়ে অভিযান করি। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল ইসলাম ও কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোর্শেদুল আলম চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল পাওয়া গেলেও এটি আসলেই নিখুঁজ সালাউদ্দিনের কিনা তা জানতে ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন