শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নোয়াখালীর হাতিয়া বয়ারচরে পুলিশ ও পথচারীর উপর হামলা : আহত ৭

প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নোয়াখালী ব্যুরো : হাতিয়া উপজেলার হরনী ইউনিয়নের হাতিয়া ও লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার সীমান্ত বিরোধের জের ধরে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজে পুণরায় বাধা প্রদান এবং পুলিশের ও পথচারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৪ পুলিশ সদস্যসহ ৭জন আহত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো, আলমগীর চৌকিদার (২৭), পথচারী নূর নবী (২৮), আয়াজ (১৭)। আহত পুলিশ সদস্যরা হলো, এএসআই সাহিদুর রহমান, সিপাহী সোহাগসহ ৪ পুলিশ। 

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৮টা থেকে হাতিয়ার বয়ারচর ইউনিয়নের মাঈনউদ্দিন বাজার জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে পাশ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বনদস্যু সর্দার ও অসংখ্য মামলার পলাতক আসামী সোলায়মান কামান্ডার ও ফরিদ বাহিনীর একদল সন্ত্রাসী চরগাজির ইউনিয়ন থেকে এসে ভোটার আগ্রহীদের বিদ্যালয়ে আসতে বাধা প্রদান করে। পরে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা একজন কর্মকর্তাসহ ৪ পুলিশ সদস্য, আলমগীর চৌকিদার ও ব্যবসায়ী জামালের ছেলে আয়াজকে পিটিয়ে জখম ও জিম্মি করে নিয়ে যায়।
হাতিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ (লিটন) ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, হামলাকারীরা ৪ পুলিশ সদস্য ও এক চৌকিদারকে পিটিয়ে জখম ও জিম্মি করে নিয়ে যায়। পরে তিনি বিষয়টি তাৎক্ষনিক র‌্যাবের কমান্ডিং অফিসারকে অবহিত করেন। পরে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশ ও চৌকিদারকে ছেড়ে দেয়। এসময় আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে এমনকি উক্ত এলাকার লোকজন পুলিশ সদস্য সোহাগের নামফলক রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেনের নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি অপরদিকে হামলা ও অপহরণের শিকার পুলিশ ঘটনার বিষয়ে রহস্যজনকভাবে নীরব রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন