শিশু মৃত্যু কমাতে সাহায্য করে এমন উদ্ভাবকদের তালিকাভুক্ত হতে আহŸান
স্টাফ রিপোর্টার : উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশু মৃত্যু কমাতে সাহায্য করে এবং আরো অধিকসংখ্যক শিশুদের কাছে পৌঁছানোর সম্ভাবনা আছে এমন স্বাস্থ্যসেবা খাতের উদ্ভাবনসমূহকে পুরস্কৃত করতে যাচ্ছে জিএসকে এবং সেইভ দা চিলড্রেন। বাংলাদেশী সংগঠনসমূহ তাদের উদ্ভাবিত অভিনব স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতিগুলো আরো একবার পাঠাতে পারবে এই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই উদ্ভাবনসমূহকে অবশ্যই অনূর্ধ্ব পাঁচ বছরের শিশুদের অস্তিত্ব রক্ষায় বাস্তব উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরীক্ষিত, দীর্ঘস্থায়ী এবং পুনঃ উৎপাদনযোগ্য হতে হবে। ফ্রিটাউন, সিয়েরালিওনে ব্র্যাক ‘মানসী’ কার্যক্রমের পাইলট পরীক্ষার জন্য ৩ লাখ টাকা পায়, যেখানে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছরের শিশু এবং মাতৃ-মৃত্যুর হার বিশ্বের সবচাইতে বেশি।
প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের ‘চতুর্থ বার্ষিক ১ মিলিয়ন ডলার হেলথ কেয়ার ইনোভেশান অ্যাওয়ার্ড’-এর উদ্বোধন করেছে। এর আগে ২০১৩ সালে বাংলাদেশভিত্তিক ব্র্যাক, তাদের ‘মানসী’ কার্যক্রমের জন্য পুরস্কার তহবিলের আংশিক জিতেছিলো। কার্যক্রমটি ঢাকার নারী ও শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার একটি সমন্বিত প্যাকেজ প্রদান করে থাকে।
অ্যাওয়ার্ডটি জিএসকে এবং সেভ দা চিলড্রেন-এর পাঁচবছর মেয়াদী অংশীদারিত্বের অনেকগুলো উদ্যোগের মধ্যে একটি, যার লক্ষ্য-দুটি প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে সমন্বিত করে এক মিলিয়ন শিশুর জীবন বাঁচাতে সহায়তা করা। ২০১৩ সাল থেকে, একডজনেরও বেশি উদ্ভাবনী উপায় নেয়া হয়- যেখানে কাগজমুক্ত টীকা রেকর্ড ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সাশ্রয়ী ডায়রিয়া চিকিৎসার কিট আবিষ্কারের মত উদ্ভাবনগুলোকে এই অ্যাওয়ার্ড-এর মাধ্যমে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এ বছর শিশু মৃত্যু কমানোয় সহায়তামূলক উপায়সমূহকে স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি, নাগালে পাওয়া দুঃসাধ্য এমন শিশুদের প্রতি কেন্দ্রীভূত উদ্ভাবনগুলোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দেয়া হবে।
বাংলাদেশে জিএসকে-এর জেনারেল ম্যানেজার ইরাম শাকির বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে অরক্ষিত শিশুদের কাছে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর প্রশ্নে কোন একটি একক প্রতিষ্ঠানের কাছে সব উত্তর থাকে না। তাই আমরা সর্বদাই নিত্য-নতুন এবং ভিন্নতর আইডিয়া খুঁজে থাকি।
সেভ দা চিলড্রেন-এর পলিসি অ্যান্ড কোয়ালিটি বিভাগের ডিরেক্টর অফ প্রোগ্রাম আলি ফোর্ডার বলেন, গত কয়েক বছরে ৫ বছরের আগেই শিশুর মৃত্যুহার ঠেকাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই অগ্রগতি সত্তে¡ও ৫ মিলিয়নেরও বেশি শিশু এখনো প্রতি বছর মারা যায়, এবং লাখ লাখ শিশু তাদের লিঙ্গ, দারিদ্র্য, অথবা সা¤প্রদায়িক পরিচয়ের কারণে পিছিয়ে পড়ছে; কারণ তারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বা শহুরে বস্তি এলাকায় বাস করে; কিংবা তারা নানাবিধ সংঘাতে জড়িয়ে পরে। আমরা এমন উপায় খুঁজে বের করতে এবং শনাক্ত করতে চাই, যার মাধ্যমে এসব শিশুদের কাছে পৌঁছানো যায়। লিপিভুক্ত হওয়ার শেষ তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১:৫৯ মিনিট পর্যন্ত। বিজয়ীর নাম ডিসেম্বরে ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন