ভিটামিন ‘ডি’ চর্বিতে দ্রবনীয় একটি ভিটামিন যা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষনে সহায়তা করে থাকে। ভিটামিন ‘ডি’ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সতেজ ও স্বাভাবিক রাখে। ভিটামিন ‘ডি’ দু’ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো ভিটামিন ‘ডি’২ বা এরগোক্যালসিফেরল যা খাদ্য থেকে পাওয়া যায় আর অন্যটি হলো ভিটামিন ‘ডি’৩ বা কোলিক্যালসিফেরল যা শরীরে উৎপন্ন হয় সূর্যের আলো বিকিরণের মাধ্যমে। ভিটামিন ‘ডি’ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়াও মাংসপেশীর কার্যকারিতায় সহায়তা করে, হৃদপিন্ড সুস্থ রাখে আর মস্তিস্কের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন ‘ডি’ মাল্টিপল স্কেলেরোসিস এবং ডিপ্রেসন বা হতাশার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন খাদ্য থেকে পাওয়া ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষনের জন্য। ক্যালসিয়ামও ফসফরাস মজবুত হাড়ের জন্য প্রয়োজন। ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবে হাড় ক্ষয়, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া এবং সর্বোপরি হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবে শিশুদের রিকেটস্ এবং বড়দের ক্ষেত্রে অস্টিওম্যালেসিয়া হতে পারে। ভিটামিন ‘ডি’ এর পরিমাণ স্বাভাবিক থাকলে মাল্টিপল স্কেলেরোসিস হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায় ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হতে পারে। এছাড়া ভিটামিন ‘ডি’ এর পরিমাণ কম হলে মোটা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভিটামিন ‘ডি’ এর পরিমাণ কম হওয়ার সাথে ডিপ্রেসন বা হতাশার যোগসূত্র থাকতে পারে। তাই এন্টিডিপ্রেসিভ ওষুধের সাথে ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োগ করলে ডিপ্রেসনের লক্ষণগুলো কমে যায়। গবেষণায় দেখা যায় ভিটামিন ‘ডি’ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে বা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন ‘ডি’ পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে দন্তক্ষয় ও পেরিওডন্টাল রোগ দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায় চর্বিযুক্ত মাছে যেমন-সালমন মাছ, গরুর কলিজা, ডিমের কুসুম, দুধ ইত্যাদি খাবারে। অতএব, সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনের জন্য ভিটামিন ‘ডি’ যেহেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আমাদের শরীরে এর কোনো অভাব না হয়।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ dr.mdfaruquehossain@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন