লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সরকারি গুদাম দখল করে অফিস ও দোকান বানিয়েছেন এক যুবদল নেতা। এ বিষয়ে আদিতমারীর ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্ত নূর আলম ওই উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা বাজারে খাদ্য মজুদ রাখার জন্য একটি এলএসডি গুদাম নির্মাণ করা হয়। গুদামটি দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় গুদামের মাঠ দখল করে ছয়টি দোকান নির্মাণ করেন ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নূর আলম। দীর্ঘদিন ধরে এসব দোকান ভাড়া দিয়ে লাখ টাকা আয় করছেন তিনি। শুধু দোকানই নয় সেখানে ওই যুবদল নেতার একটি অফিসও রয়েছে। ওই অফিস থেকেই ইউনিয়ন যুবদলের সব কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি।
আরো জানা গেছে, শুধু গুদাম নয়, গুদাম সংলগ্ন সড়ক, মাঠ ও পাশের জমিগুলোও পর্যায়ক্রমে দখলে নিয়েছেন যুবদল নেতা নূর আলম। এতে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে গুদামটি। সরকারি গুদাম, সড়ক, মাঠ ও জমি উদ্ধার করার দাবি জানিয়ে ১৩ ডিসেম্বর আদিতমারীর ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন আজহার আলী মন্টু নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগকারী আজহার আলী মন্টু বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে গুদামের জমি দখলে নিয়েছেন যুবদল নেতা নূর আলম। সেই থেকে তিনি সরকারি গুদামটি ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছেন।
আমি তার বিরুদ্ধে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছি। গুদাম, মাঠ ও জমি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছি।
অভিযুক্ত মহিষখোচা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নূর আলম বলেন, গুদামের বাইরের অংশ ফাঁকা ছিল। এ কারণে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বলেই আমি অফিস ও দোকান নির্মাণ করেছি। প্রশাসন চাইলে জায়গা ছেড়ে দেব।
মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী বলেন, গুদামের মাঠ ও পাশের খোলা জায়গা অনেকদিন ধরেই দখল করে রেখেছেন যুবদল সভাপতি নূর আলম। তাকে অনেকবার জায়গা ছাড়তে বললেও তিনি শোনেননি।
আদিতমারীর ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। শিগগিরই অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হবে। সরকারি সম্পদ কোনো ব্যক্তি অবৈধভাবে দখলে রাখতে পারবেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন