বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভিশন-২০২০ নামে একটি কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। এখানে শিশুদের অন্ধত্ব এবং পরবর্তীতে এর ভয়ঙ্কর প্রভাব সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে। এই দুর্বিষহ অবস্থা যাতে প্রতিরোধ করা যায়, এমন পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দৃষ্টিশক্তি ৩/৬০ অথবা কেন্দ্রীয় পরিসীমা ১০-এর কম হলে অন্ধ বিবেচনা করা হয়। আর মারাত্মক দৃষ্টি অপারগতা হচ্ছে ভালো চোখে দৃষ্টিশক্তি ৩/৬০ এর বেশি কিন্তু ৬/৬০-এর কম।
চোখের অভ্যন্তরীণ স্থানভেদে অন্ধত্বের কারণের মধ্যে রয়েছে, লেন্স, কর্নিয়া, রেটিনা, অপটিক স্নায়ু, গ্লুকোমা, ইউভিয়াতে সমস্যা। সম্পূর্ণ চোখেও সমস্যা থাকতে পারে। আবার উৎপত্তি কারণ চিন্তা করতে গেলে বংশগত, গর্ভ কিংবা প্রসবকালীন, জন্মের পরপরই শিশুর সমস্যা প্রভৃতি কারণও রয়েছে। তবে এসবের বাইরেও বিশাল একটি অংশের কারণ আমাদের অজানা।
একজন শিশু চিকিৎসক হিসেবে শিশুদের অন্ধত্ব প্রতিরোধ করার জন্য কিছু সুপারিশ করতে পারি।
Ñপর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ শাকসবজি, হলুদ পাকা ফল, ছোট মাছ, ডিম, দুধ গ্রহণ করতে হবে।
Ñনির্দিষ্ট ডোজে বছরে দুইবার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে হবে (পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত)।
Ñদীর্ঘদিনের ডায়রিয়া, হাম, অপুষ্টির শিকার বাচ্চাদের চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিতে হবে।
Ñসময়ের আগে জন্ম নেয়া এবং কম ওজনের শিশুদের অক্সিজেন দেয়ার আগে যথেষ্ট সতর্কতা গ্রহণ করা উচিত। অতিরিক্ত অক্সিজেন জঙচ (জবঃরহড়ঢ়ধঃযু ড়ভ ঢ়ৎবসধঃঁৎরঃু) রোগ তৈরি করে অন্ধত্ব সৃষ্টি করতে পারে।
Ñধারালো খেলনা, ধারালো ঠোঁটের পাখি এসব থেকে দূরে থাকতে হবে।
এসবের পাশাপাশি শিশু যেকোনো সময় দেখতে সমস্যা, চোখে ব্যথা, দীর্ঘদিনের মাথাব্যথা, প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির পূর্বে অভিজ্ঞ চোখের চিকিৎসকের কাছে চোখ পরীক্ষা করা উচিত। মনে রাখতে হবে, নিরাময়যোগ্য সমস্যা যত আগে আগে ধরা পড়বে, সেরে যাওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি।
ষ ডা. আহাদ আদনান,
আইসিএমএইচ, মাতুয়াইল, ঢাকা। ০১৯১২২৪২১৬৮।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন