শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

কোরবানির বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে -পবা

প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : কোরবানীর বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরে পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন। তাদের মতে, প্রতি বছরই ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সর্বত্র কোরবানীর বর্জ্যরে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সচেতনতার অভাবে মারাত্মক পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বর্জ্যসমূহ সম্পদে রূপান্তর করা সম্ভব হয় না। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পবা কার্যালয়ে আয়োজিত কোরবানী ও এর বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিতকরণে করণীয় নির্ধারণে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) বৈঠকে বক্তারা এসব অভিমত ব্যক্ত করেন। পবার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের র্ভিসি অধ্যাপক ড. এম এম সফিউল্লাহর সভাপতিত্বে এবং পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা: লেলিন চৌধুরীর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান, সম্পাদকমÐলীর সদস্য অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, সহ-সম্পাদক আবুল হাসনাত, মো: সেলিম, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি রাজিয়া সামাদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পরিচ্ছন্নতাকে ইসলাম অতীব গুরুত্ব প্রদান করেছে। নিঃসন্দেহে পরিচ্ছন্নতার প্রসঙ্গটি কোরবানীর ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রযোজ্য। অথচ আমরা প্রতি বছর দেখছি যত্রতত্র পশু জবাই করা হচ্ছে। পশুর রক্ত ও আবর্জনায় রাস্তাঘাট সয়লাব। ড্রেনে পানির প্রবাহ আটকে যাচ্ছে, উপচেপড়া নোংরা পানি চার পাশে ছড়িয়ে পড়ছে। গ্রামাঞ্চলে কোরবানীর বর্জ্য খোলা স্থান, ঝোপঝাড়ের পাশে, খালে-বিলে ফেলা হয়। ফলে পরিবেশের মারাত্মক দূষণ ঘটে। বক্তারা আরো বলেন, ইসলাম ধর্মে অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। প্রতি বছর আমাদের অজ্ঞতা ও অব্যবস্থাপনার দরুন কত হাজার হাজার টন কোরবানীর পশু বর্জ্যরে অপচয় আমরা করছি তার হিসাবটিও রাখছি না।
গত বছর পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় ৭০ লাখ গরু কোরবানীর সম্ভাবনার কথা ঘোষণা করেছিল। নিঃসন্দেহে এবার সে সংখ্যাটি আরো বাড়বে। বিপুল সংখ্যক পশু থেকে বিশাল পরিমাণের বর্জ্য উৎপাদিত হবে। কিন্তু চামড়া ব্যতীত পশুর অন্যান্য বর্জ্যরে বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে যাবে, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। চামড়া ব্যতীত অন্যান্য বর্জ্যকে ব্যবহারের ভাবনা সরকারি-বেসরকারি কোনো পর্যায়েই নেই। অথচ রক্ত, হাড়, খুর, শিং, লেজের লোম ও অন্যান্য বর্জ্য থেকে সার, বোতাম, চিরুনি, পশুখাদ্য, মৎস্য খাদ্য, হাস-মুরগির খাদ্য ইত্যাদি খুব সহজেই উৎপন্ন করা যায়। আরো কিছু শিল্পে এগুলো ব্যবহৃত হতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন